বুধবার, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

রাজগঞ্জের মেঠো পথে ফুটেছে চোখজুড়ানো ভাঁটি ফুল

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মেঠো পথের সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে চোখজুড়ানো ভাঁটি ফুল। রাস্তার ধারে অযত্নে, অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার চিরপরিচিত গুল্মজাতীয় বুনো উদ্ভিদ ভাঁটি।

অঞ্চলভেদে রাজগঞ্জে এই ফুলকে বলা হয় ভাঁটি ফুল।

রাজগঞ্জের রাস্তার দুপাশে আঁকাবাঁকা গ্রামীণ পথে, আনাচে-কানাচে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা, ফোটা সাদা ভাঁটি ফুল দেখলে চোখজুড়িয়ে যায়।
রাজগঞ্জের গ্রামীণ রাস্তা ও প্রধান সড়কের দুই পাশে ভাঁটি ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে।

এছাড়া রাজগঞ্জের বিভিন্ন বাগানগুলোতে ভাঁটি ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। চলাচলকারী লোকজন কিংবা বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরাও তা দেখে মুগ্ধ হন। বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঁটি ফুল ফোটে। এই ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে দেখা যায়। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁটি ফুলের গাছ চোখে পড়ে। এর বৈজ্ঞানিক নাম, ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম। ইংরেজি নাম হিল গেন্টারি বোয়ার ফ্লাওয়ার।

জানা গেছে- ভাঁটি ফুলের আদি নিবাস ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই প্রজাতির ফুল। কিছু কিছু লোকজন বিষ প্রয়োগ করে এই ফুল ধ্বংশ করে দিচ্ছে। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে একটু খুঁজলে সন্ধান মিলবে ভাঁটির। এখন রাজগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার ধারে, বান্দালের উপর ভাঁটি ফুল দেখা যায়।

ভাঁটি ফুলের ঘ্রাণও ভীষণ মিষ্টি। সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় ভাঁটি ফুলের গাছ। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ রয়েছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এই ফুল। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁটি ফুলের মধু সংগ্রহ করে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন- ভাঁটি ফুল গুল্মজাতীয় দেশি বুনো পুষ্পক উদ্ভিদ। এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ভাঁটি শুধু সৌন্দর্য গুণেই নয়, মানবদেহের জন্য এই গাছের অনেক ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। বিশেষ করে চর্ম রোগীরা ভাঁটি ফুলের রস দিনে দুইবার ক্ষত স্থানে মালিশ করলে যেকোনো চর্ম রোগ দ্রুত সেরে যায়। অনেক সময় বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দিলে এই ভাঁটি ফুলের রস করে ক্ষত স্থানে মালিশ করলে ফোলা ও ব্যথা দ্রুত কমে যায়। ভাঁটির পাতার রস কৃমি প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মনিরামপুরে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত প্রায় ১২ শ’ বিঘা ফসলি জমি

হেলাল উদ্দিন : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিণা খালের বাঁধ ভেঙে হাজার বিঘাবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের রাজগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক সাগরের ই*ন্তে*কা*ল, শোক প্রকাশ

হেলাল উদ্দিন : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষকবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের রাজগঞ্জে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের ই*ন্তে*কা*ল

হেলাল উদ্দিন : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ পার বাজারের ব্যবসায়ী ও হানুয়ারবিস্তারিত পড়ুন

  • মনিরামপুরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মানাসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু
  • রাজগঞ্জে মসজিদের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি
  • রাজগঞ্জে ইজিবাইকের ধা*ক্কায় দুই জমজ শিশু হ*তাহ*ত
  • মনিরামপুরে গৃহবধূর লা*শ উদ্ধার, শ্বশুর পলাতক
  • মনিরামপুরের খড়িঞ্চীতে দিনব্যাপী ফ্র্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
  • মনিরামপুরে নতুন ভোটার হচ্ছেন ১৬ হাজার ৬৪৬ জন
  • মনিরামপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা
  • মনিরামপুরে মৌমাছির হুলে শ্রমিকের মৃত্যু
  • রাজগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
  • যশোরের রাজগঞ্জে ধান ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির লা*শ উদ্ধার
  • মনিরামপুরে বিএনপি নেতা মুছার ছোট ভাইয়ের জানাজা অনুষ্ঠিত
  • মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত, আহত ২