সোমবার, মে ৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

রাজগঞ্জের মেঠো পথে ফুটেছে চোখজুড়ানো ভাঁটি ফুল

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মেঠো পথের সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে চোখজুড়ানো ভাঁটি ফুল। রাস্তার ধারে অযত্নে, অনাদরে ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা গ্রাম-বাংলার চিরপরিচিত গুল্মজাতীয় বুনো উদ্ভিদ ভাঁটি।

অঞ্চলভেদে রাজগঞ্জে এই ফুলকে বলা হয় ভাঁটি ফুল।

রাজগঞ্জের রাস্তার দুপাশে আঁকাবাঁকা গ্রামীণ পথে, আনাচে-কানাচে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা, ফোটা সাদা ভাঁটি ফুল দেখলে চোখজুড়িয়ে যায়।
রাজগঞ্জের গ্রামীণ রাস্তা ও প্রধান সড়কের দুই পাশে ভাঁটি ফুলের সমারোহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন অপরূপ সাজে সেজেছে।

এছাড়া রাজগঞ্জের বিভিন্ন বাগানগুলোতে ভাঁটি ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। চলাচলকারী লোকজন কিংবা বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরাও তা দেখে মুগ্ধ হন। বসন্তের আগমনে পলাশ-শিমুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঁটি ফুল ফোটে। এই ফুল ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে দেখা যায়। বিশেষ করে পরিত্যক্ত মাঠ, বন, রাস্তা কিংবা জলাশয়ের পাশে ভাঁটি ফুলের গাছ চোখে পড়ে। এর বৈজ্ঞানিক নাম, ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম। ইংরেজি নাম হিল গেন্টারি বোয়ার ফ্লাওয়ার।

জানা গেছে- ভাঁটি ফুলের আদি নিবাস ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অঞ্চলে। তবে যতদিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই প্রজাতির ফুল। কিছু কিছু লোকজন বিষ প্রয়োগ করে এই ফুল ধ্বংশ করে দিচ্ছে। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে একটু খুঁজলে সন্ধান মিলবে ভাঁটির। এখন রাজগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার ধারে, বান্দালের উপর ভাঁটি ফুল দেখা যায়।

ভাঁটি ফুলের ঘ্রাণও ভীষণ মিষ্টি। সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় ভাঁটি ফুলের গাছ। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশ্রণ রয়েছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। রাতে বেশ সুঘ্রাণ ছড়ায় এই ফুল। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁটি ফুলের মধু সংগ্রহ করে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন- ভাঁটি ফুল গুল্মজাতীয় দেশি বুনো পুষ্পক উদ্ভিদ। এ গাছের ভেষজ গুণাগুণও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ভাঁটি শুধু সৌন্দর্য গুণেই নয়, মানবদেহের জন্য এই গাছের অনেক ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। বিশেষ করে চর্ম রোগীরা ভাঁটি ফুলের রস দিনে দুইবার ক্ষত স্থানে মালিশ করলে যেকোনো চর্ম রোগ দ্রুত সেরে যায়। অনেক সময় বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দিলে এই ভাঁটি ফুলের রস করে ক্ষত স্থানে মালিশ করলে ফোলা ও ব্যথা দ্রুত কমে যায়। ভাঁটির পাতার রস কৃমি প্রতিরোধেও দারুণ উপকারী।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মণিরামপুরে মেশকাদ আলী হত্যার ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে মেশকাদ আলী (৩৫) নামের এক শ্রমিক হত্যারবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের মণিরামপুরে ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

যশোরের মণিরামপুরে ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

প্রচন্ড গরমে যশোরের রাজগঞ্জে বৃদ্ধের মৃত্যু!

প্রচন্ড গরমে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় আব্দুর রহমান (৬৫) নামের একবিস্তারিত পড়ুন

  • প্রচন্ড গরমে রাজগঞ্জে এক বৃদ্ধার মৃত্যু
  • মণিরামপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তরুণ নিহত
  • মণিরামপুরের রাজগঞ্জে কুকুরের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী
  • রাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত জনপ্রতিনিধির দাফন সম্পন্ন
  • খরতাপে পুড়ছে মনিরামপুর
  • মনিরামপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
  • মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
  • মনিরামপুরে ঈদের দিন পানিতে ডুবে ও সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত-২
  • মনিরামপুরের রাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • মনিরামপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু
  • যশোরের রাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পর্শ্বে বৃদ্ধর মৃত্যু
  • মনিরামপুরের রাজগঞ্জে রমজানের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরমে