লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিল চীন-ভারত
লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিল চীন-ভারত।
পূর্ব লাদাখের গোগরা এলাকায় দুদেশের মধ্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ।
চুক্তি অনুসারে সেখানকার অস্থায়ী অবকাঠামোও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে শুক্রবার (৬ আগস্ট) এ খবর দিয়েছে দ্য প্রিন্ট ও এনডিটিভি।
খবরে আরও বলা হয়, মুখোমুখি সংঘাতের ১৫ মাস পর লাদাখ সীমান্ত থেকে দুদেশের সেনারা তাদের নিজ নিজ স্থায়ী ঘাঁটিতে চলে গেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার সেনাসহ অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফলে সীমান্তের পরিস্থিতি এখন পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে এসেছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চুক্তি অনুসারে দুপক্ষই পর্যায়ক্রমে অগ্রসর বাহিনীকে সরিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পর এই বড় সফলতা এসেছে।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, গগরা এলাকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেখানকার অবস্থানকে দুদেশই মর্যাদা দেবে, কোনো দেশ একতরফাভাবে তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না।
ছয়টি সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলের চারটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু ডেপসাং ও হট স্প্রিয়ের অচলাবস্থা অব্যাহত থাকবে।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অধিকতর স্পর্শকাতর এলাকার সংকটের সমাধান করা হয়েছে। আলোচনা এগিয়ে নিতে দুপক্ষই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বাকি সমস্যারও সুরাহা করা হবে।
এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় লাদাখ নিয়ে চীন-ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। বাকি অমীমাংসিত বিষয়গুলোরও সমাধান বের করা হবে দ্রুত গতিতে।
চীন ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান অচলাবস্থার শুরু হয়েছিল গত বছরের ৫ মে। তখন প্যানগং এলাকায় রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে দুদেশ। এ সময়ে চীনারা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়লে সংঘাতে লেগে যায়। যাতে ২০ ভারতীয় ও কয়েকজন চীনা সেনা নিহত হয়েছেন।
এরপর সীমান্তে সেনা বাড়াতে থাকে দুদেশ। মোতায়েন করা হয়েছে ভারী অস্ত্র। বর্তমানে সীমান্তের স্পর্শকাতর সেক্টরগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে চীন-ভারতের।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)