শুক্রবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শহীদ মিনার নেই কলারোয়ার বেশিরভাগ স্কুল-কলেজে, একটিও নেই মাদ্রাসা ও দুই ইউনিয়নে

১৯৫২ থেকে ২০২৩। কেটে গেছে প্রায় ৭১টি বছর। আর দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫২ বছর। তবু এতো দিনেও স্বাধীনতার বীজ মহান ভাষা আন্দোলনের স্মরণে শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি সাতক্ষীরার কলারোয়ার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার থাকলেও উপজেলার কোনো মাদ্রাসায় নেই একটিও শহীদ মিনার। যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও প্রায় বছরজুড়ে অবহেলিত ও অপরিচ্ছন্ন থাকতে দেখা যায়। এছাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নের কোথাও আজও স্থাপন করা হয়নি একটি শহীদ মিনার।

অনেকে বলছেন, ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই বাংলা ভাষা নিয়ে মাতামাতি হলেও বছরজুড়ে সেই বাংলা ভাষা থাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য অনেকক্ষেত্রে অবহেলিত। আর বিগত বছরগুলোতে ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শহীদ মিনার শুধুমাত্র পুষ্পমাল্য অর্পণের স্থান হিসেবেও বিবেচিত হয়। যেসকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই সেখানে কিছু সময়ের জন্য বেঞ্চ, কলাগাছ, বাঁশ-কাপড়, মাটি ইত্যাদি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতে দেখা যায়। শহীদ মিনারবিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহান একুশে ফেব্রুয়ারীতে ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে পারে না বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভা এবং উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে শহীদ মিনার রয়েছে ৩৫টি।

উপজেলার কয়লা ও জালালাবাদ ইউনিয়নে কোনো শহীদ মিনার নেই বলে জানা গেছে। গতবছর কয়লা হাইস্কুলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা হলেও তার নির্মাণ কাজ এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে, উপজেলায় ৩৪টি এমপিওভূক্ত মাদ্রাসা রয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে সিনিয়র মাদ্রাসার সংখ্যা ৫টি। এসব মাদ্রাসার কোথাও গড়ে ওঠেনি একটিও শহীদ মিনার। যদিও কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসায় একটি শহিদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে। তবে সেটার কাজও আজো শুরু হয়নি।

অপরদিকে, উপজেলার ১২টি বেসরকারি কলেজের মধ্যে ৫টিতে শহীদ মিনার আছে, বাজি ৭টি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়নি কোন শহীদ মিনার। কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ ও সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার রয়েছে।

উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে, নেই অবশিষ্ট ৩০টিতে।

উপজেলার ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে শুধুমাত্র ৫টিতে। কলারোয়া, গোপীনাথপুর, রঘুনাথপুর, ঝাঁপাঘাট ও বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বাদে বাকী ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার।

কলারোয়া পৌরসভার মধ্যে কলারোয়া ফুটবল মাঠের কর্নারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুলসীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল মিলিয়ে মোট ৮টি শহীদ মিনার রয়েছে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত শহীদ মিনারগুলো হলো- হেলাতলা ইউনিয়নের দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলাতলা আইডিয়াল হাইস্কুল, কাজীরহাট হাইস্কুল, ঝাঁপাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরসকাটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়নগর বদরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় ও ধানদিয়া হাইস্কুল, দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো হাইস্কুল, দেয়াড়া হাইস্কুল, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়া হাইস্কুল, কেরালকাতা ইউনিয়নের সিংগা হাইস্কুল, কেকেইপি হাইস্কুল, চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজার, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিজলদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ও বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের কেএল হাইস্কুল, যুগিখালি ইউনিয়নের বামনখালি হাইস্কুল প্রাঙ্গণ ইত্যাদি। বাকি শিক্ষা স্কুল-কলেজে নেই কোন শহীদ মিনার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমআর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমানের অর্থায়নে কয়েক বছর আগে কলারোয়া ফুটবল মাঠের কর্নারে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভ ‘স্বাধীনতা’ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সোনাবাড়িয়া হাইস্কুল, হেলাতলা হাইস্কুল, কেকেইপি হাইস্কুল, চন্দনপুর কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

ভাষাপ্রেমিরা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই আমরা অনেকেই বাংলা ভাষাকে নিয়ে মাতামাতি করি। বাংলা যেনো শুধু ফেব্রæয়ারী মাস কেন্দ্রিক না হয়। বাংলা ভাষার প্রতি চাই বছরজুড়ে ভালোবাসা। শুধু শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও মুখেমুখে ভালোবাসা নয় বরং সর্বক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাকে গুরুত্ব সহকারে নিশ্চিত করা গেলেই বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার শাকদহ খানপাড়া জামে মসজিদের দ্বিতল ভবনের কাজের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার শাকদহ খানপাড়া জামে মসজিদের দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষায় পাস ৭৪.৯১%

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত আলিম পরীক্ষা২০২৫ এর ফলাফলে জানাবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় আলিম পরীক্ষায় শীর্ষে সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা
  • কলারোয়া উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা
  • হ্যান্ডবল খেলায় কলারোয়ার মেয়েরা ৩ বার সাতক্ষীরা জেলা চ্যাম্পিয়ন
  • কলারোয়া উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ বিতরণ
  • কলারোয়ায় কপাই ফুটবল টুর্নামেন্টে কসমস ফুটবল একাদশ সেমিফাইনালে উন্নীত
  • কলারোয়ার জালালাবাদে মহিলা দলের সমাবেশ
  • কলারোয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
  • কলারোয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৮০ স্কুল ব্যাগ বিতরণ
  • আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি গঠনের শেকড় শিক্ষকের হাতে: অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ
  • কলারোয়ার জয়নগরে বিএনপির মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিতে শ্যামনগর
  • কলারোয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন