সাতক্ষীরায় তরূণ এক্টিভিস্টা সদস্যদের নেতৃত্বে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক অনুষ্ঠিত


সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে “ফান্ড আওয়ার ফিউচার” (আমাদের ভবিষৎতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ কর) জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর; নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর। এই দাবি করে সিডো সংস্থার দ্বারা পরিচালিত সাতক্ষীরার এক্টিভিস্টা সদস্যরা এবং তাদের প্লাটফর্ম একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় “আমাদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করবো না” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে নিয়ে ১১ এপ্রিল-২৫, শুক্রবার সকাল ৯ ঘটিকায় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ূ ধর্মঘট করেছে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক একটি যুব-নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক আন্দোলন যা জলবায়ূ সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে শান্তিপূর্ন এবং অহিংসভাবে জলবায়ূ ন্যায়বিচারের পক্ষে বক্তব্য জানাতে জাতিসমুহকে আহবান জানায়। প্রতি বছর এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর মাসে বিশে^র ৮০টির ও বেশি দেশে স্ট্রাইক অনুষ্ঠিত হয়। যুবদের দাবি ও কন্ঠস্বরকে শক্তিশালী করতে এবং জলবায়ূ ন্যায়বিচারের আন্দোলনে তাদের সম্পৃক্ত করতে একশনএইড বাংলাদেশ প্রতি বছর দুইবার এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক আয়োজন করে, যেখানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম , যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠন, গ্রুপ, নারী, শিশু ফোরামের সদস্যরা, একশনএইড ও এর সহযোগি প্রতিষ্ঠানসমুহ অংশগ্রহন করে।
উপস্থিত ছিলেন যুব-তরূণ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
যুবরা সরকারী পর্যায়ের বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলো এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবশ্ম জ্বালানী পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার আহবান জানায়।
জলবায়ূ সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবি ও জনগনকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশের সহায়তায় ও এক্টিভিস্টা নেটওয়ার্কের যুব সংগঠনের সেচ্ছাসেবক তরূনরা এই গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সংহতি প্রকাশ করেন।
এসময় তরূণরা দলমত নির্বিশেষে সমাজে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে নিয়ে জলবায়ূ সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন হাতে অবস্থান নেয়। তাদের প্লাকার্ডে তাদের প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ কর; নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি কর, জলবায়ূ সুবিচার চাই, ইত্যাদী প্রকাশ পায়।
এছাড়া ও যুবরা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ূ সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের বন্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাইস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে মূলত দক্ষিণনের জলবায়ূ সংরক্ষিত দেশগুলোতে। এটি অনুন্নতা দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুন বাড়িয়ে তুলছে। আমরা বাংলাদেশের তরূণরা তাই সর্বোচ্চ কার্বণ নর্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাচে অবিলম্বে জীবশ্ম তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ূ সংকরেট কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলির জন্য লস এন্ড ড্যামেজ এ অর্থায়ণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে জীবাশ্ম জ্বালানী কোম্পানী ও বানিজ্যিক কৃষির মত ক্ষতিকারক এরিয়াগুলোতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
জলবায়ূ বিষয়ে জনগন ও নীতিনির্ধারকদের সুবিবেচনার জন্য স্ট্রাইকের বিকল্প নেই বলে জানান, একজন তরূণ এক্টিভিস্টা ও জলবায়ূকর্মীরা তারা বলেন, প্রতিবছর উপক‚লীয় অঞ্চলে পানি বাড়ছে এবং আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানে আমাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ভবিষৎতে প্রজম্ম ও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ করা বাঞ্চনয়ি। যত তাড়াতাড়ি আমাদের বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এই কাজ করবে তত তাড়াতাড়ি এ পৃথিবী সুরক্ষিত হবে।
সারা পৃথিবী যে হাবে জীবশ্ম জ্বালানীতে ও ব্যবসায়িক কৃষি পন্যে বিনিয়োগ বেড়ে চলছে তা ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে একটি বিরাট অন্তরায়। ফলে বাংলাদেশের তরূণরা নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও জলবায়ূ সহিষ্ণু টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জ্বালানী নিরাপত্তা , খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ূ প্রশমন তহবিলের দাবি করছে। ফসিল ফাইন্যান্স ও ক্ষতিকর ব্যবসায়িক কৃষি পন্যতে বিনিয়োগ প্রবণতা ক্রমবর্ধমান পুঁজিবাদী মানসিকতার একটি প্রধান উদাহরন যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তÍতন্ত্র এবং জলবায়ূকে মারাত্নক ধ্বংস করছে। ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে গ্লোবাল সাইথের দেশগুলোর উপর। এর ফলে অতি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারী ও যুবসহ বিপদাপন্ন গ্রুপগুলো। আমরা যতি এখনবি সোচ্চার না হই তবে নিকট ভবিষৎতে আমাদেরকে বড় দুর্যোগ ও বিপর্যায়ের সম্মুখীন হতে হবে, বাস্তুচ্যুত হতে হবে আমাদের মত দেশগুলির লক্ষাধিন মানুষকে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
