স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ জুড়ে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই


গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে কোনো মনগড়া বা হঠাৎ গজিয়ে উঠা সংগঠনকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৫ জুলাই) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগের রয়েছে সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং বিভিন্ন উপকমিটি। কিন্তু এসবের সুযোগ নিয়ে স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে যে কোনো নামের সঙ্গে ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলে নানান সুবিধাভোগী শ্রেণি এবং বসন্তের কোকিলরা এ ধরনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এরা নানান আগাছা ও পরগাছা।
দলীয় সভানেত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দলের মধ্যে কারো প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে এ ধরনের কাজে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের আবারো স্পষ্ট করে বলেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির দলে অনুপ্রবেশ ঘটলে কিংবা কারো কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।
পদ্মাসেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অসীম সাহসের সোনালি ফসল এ সেতু। পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। দৃশ্যমান ও অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই নানা গুজব এবং অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে দেশবিরোধী এবং উন্নয়ন বিরোধী একটি অপশক্তি। তবে, মনুষ্যসৃষ্ট নানা বাঁধা ও ষড়যন্ত্র খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, ২৪ জুলাই পর্যন্ত পদ্মাসেতুর মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৪ ভাগ, আর সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৭ ভাগ।
গত ২৩ জুলাই একটি ফেরি নদীতে চলাচলের সময় পদ্মাসেতুর একটি পিয়ারে আঘাত করা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আঘাতকারী ফেরির ওজন ছিলে ১২শ ৮৪ টন, আর পদ্মাসেতুর ডিজাইন অনুযায়ী ৩০ নটিক্যাল মাইল গতিতে ৪ হাজার টন ওজনের নৌ-যানের ধাক্কা সামলানোর ক্যাপাসিটি রয়েছে প্রতিটি পিয়ারের।
ঘটনার পর পরই বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী, কারিগরি কমিটির সদস্যগণ, পরামর্শক ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইতোমধ্যেই ফেরির চালকসহ দুইজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফেরির ধাক্কায় পিয়ারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্রের অংশ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গর্বের এ সেতু নিয়ে আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এখনো যে নেই তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
