বীজ বিক্রি করে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করছে রাজগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ীরা
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে ইরি-বোরো ধানের বীজ বিক্রি করে কালোবাজারীরা কৃষকদের ঠকাচ্ছেন। কৃষকদের চাহিদা বুঝে বীজ ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের ধান বাজার থেকে কিনে বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির মোড়কে ভরে বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর নিরিহ কৃষকেরা ওইসব চটকদারী মোড়কজাত করা ধান বীজ কিনে রীতিমতো ঠকছে। এই ধান বীজ জমিতে বোনার পর ঠিকমত চারা বের না হওয়ায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কৃষকেরা। এমন অভিযোগ রাজগঞ্জ এলাকার ঝাঁপা, হানুয়ার গ্রামের কয়েকজন কৃষকের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে- বিগত ইরি-বোরো মৌসুমে স্থানীয় জাতের ধান রড মিনিকেটের ফলন ভালো হওয়ায় চলতি বছর ওই ধানের বীজের চাহিদা কৃষক পর্যায়ে এবার অনেক বেশী। ফলে কৃষকদের চাহিদা বুঝে আগে ভাগেই কিছু মুনাফী লোভী বীজ ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারের ধানের আড়ৎ থেকে রড মিনিকেট ধান কিনে প্যাকেটজাত করে সেগুলি ইন্ডিয়ান রড মিনিকেট হিসেবে কৃষকদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লুফে নিচ্ছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয় করা রড মিনিকেট ধান প্যাকেটজাত করে রাজগঞ্জ বাজারের কালোবাজারিরা বিক্রি করছে বলে বলে জানাগেছে। এ সব বীজ কৃষকরা কিনে জমিতে বোনার পর ঠিকমত চারা বের হচ্ছে না, এমনটায় জানিয়েছেন কৃষকেরা।
ঝাঁপা গ্রামের কৃষক আরশাদুল ইসলাম বলেন- রড মিনিকেটের বীজ কিনেছি। এখনো জমিতে বোনা হয়নি। তিনি বলেন- অনেকেই জমিতে বুনেছে। কিন্তু এখনো চারা বের হয়নি।
মণিরামপুর উপজেলার হালসা গ্রামের চাষী হাসান আলী সরদার জানান- তিনি রাজগঞ্জ বাজার থেকে ইন্ডিয়ান রড মিনিকেট ধানের বীজ কিনেছে। পরে জমিতে বোনার পর চারা না বের হওয়ার ফলে, ধান ফেরত দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখাগেছে- রাজগঞ্জ বাজারের বীজ বিক্রেতারা হরেকরকমের মোড়কে ভরা নানা জাতের ধান বীজ নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বসে আছেন।
রাজগঞ্জ এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান- রাজগঞ্জ বাজারে যে ধান বীজ বিক্রি হচ্ছে, তা সব ভেজাল ও নিম্নমানের। বিক্রেতারা এসব ধান বীজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করে রীতিমতো কৃষকদের ঠকাচ্ছে। কৃষকরা বলেন- রাজগঞ্জ বাজারের কোনো দোকানে রড মিনিকেট কিংবা বাংলার জিরে নামের কোন ধান নেই। দোকানে যেসব ধান বীজ সাজানো রয়েছে, সব ভেজাল ধান বীজ। বীজ বিক্রেতারা, কৃষকদের কাছে ভেজাল ধান বীজ বিক্রি করে, কৃষকদের সাথে প্রতারণা করছে। এর ফলে কৃষকেরা চরম ঠকা ঠকছে। সরকারি ভাবে বিষয়টি মনিটরিং করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রাজগঞ্জ এলাকার কৃষকেরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)