রাজগঞ্জ বাজার মাছ, মাংস, ডিম সব গরিবের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের খুচরা বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাশাপাশি বেড়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। এ বাজারে প্রতিপিস আফিল ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকা দরে। বাড়তে শুরু করেছে শাকসবজির দামও। রাজগঞ্জে গরিবের আমিষের চাহিদা পূরণ করে আসছে তেলাপিয়া মাছ। সেই তেলাপিয়া মাছের গায়েও এখন আগুন জ্বলছে। যেনো সম্পূর্ণ ক্রয় ক্ষমতার বাইরে!
রাজগঞ্জ বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীতে অসহায় গরীব মানুষসহ মধ্যবিত্তরাও।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি-২০২৩) ও শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি-২০২৩) সকালে রাজগঞ্জ খুচরা বাজার ঘুরে এসব বিষয় নজরে এসেছে।
রাজগঞ্জ বাজারে যে মাছ ১০০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হতো, তা এখন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। আর বড় মাছগুলো, যেনো দর করাও যাচ্ছে না।
এই বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মাছ বিক্রি করেন রাজ কুমার। তিনি জানান- এখন মাছের দাম বেশি যাচ্ছে। আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যে কারণে খুচরাও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেখা গেছে- ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে দরকষাকষি করে মাছ বিক্রি করছে।
এদিকে- একজন মাছ চাষি বলেন- মাছের খাদ্যের দাম বেড়েছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে, মাছ ধরার লোকদের মুজুরী বেড়েছে। এ মাছের দামওতো বাড়বে, এটায় স্বাভাবিক।
তিনি মন্তব্য করে বলেন- বাজারের যে অবস্থা, তাতে গরীব মানুষ মাছ, মাংস খেতে পারবে না।
মাছ কিনতে আসা একজন স্বল্প আয়ের মানুষ জানান- সারাদিন যে টাকা ইনকাম করি, তা দিয়ে বাজার-ঘাট করতে আসলেই বিপাকে পড়তে হয়।
আরেকজন স্বল্প আয়ের মানুষ নয়াবালী। তিনি বলেন- বাজারে সব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। এই অবস্থায় সংসার টানটান ভাবে চলছে। সেই নুন আনতে, পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা।
বাজার ঘুরে দেখাগেছে- রাজগঞ্জ বাজারে আফিল ডিম সাড়ে ১২ টাকা প্রতিপিস, কাটা ব্রয়লার মুরগী প্রতিকেজি ২৮০ টাকা, কাটা বাদে দেশি মুরগী ৫০০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)