কলারোয়ায় ভূয়া ওয়ারেশ দেখিয়ে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগ
কলারোয়ায় এক ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর সহায়তায়
জালিয়াতি করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সাবেক ১৫৭৬ দাগের ৮শতক জমি ১৯৬২ রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারেশ বোয়ালিয়া গ্রামের সন্তোষ সরদার ১৫২৬/৭৫ নং দলিলে বোয়ালিয়া গ্রামের কেতাবদী গংয়ের কাছে বিক্রি করে ভারতে চলে যায়।
দলিল গৃহীতার অজ্ঞতায় এই সম্পত্তি ১৯৯০ এর জরিপে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি ‘খ’ তালিকাভূক্ত হয়।
‘খ’ তফসিলের সম্পত্তি সরকার অবমুক্ত ঘোষণা করলে পাচপোতার মৃত মোহর আলীর পুত্র নজরুল সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী নিরঞ্জন রায়ের সহায়তায় বোয়ালিয়া গ্রামের সন্তোষ সরকারের পুত্র রবিন সরকারকে ভূয়া ওয়ারেশ দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নামপত্তন করে নেয়।
এই জমির নামপত্তন ও জমাখারিজের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে কেস নং ২৩৬২(রী-রর)/১৭-১৮ এ জালিয়াতি করে ভারত প্রবাসী রবিন সরদারের নামে আবেদন করা হয়। রবিন সরদারের নামে আবেদন হলেও জালিয়াতি করে কেস নং ২৩৬১(রী-রর)/১৭-১৮ মূলে রবিন সরকারের নামে খতিয়ান সরবরাহ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ভূমি অফিসের কেস রেজিস্ট্রারে ২৩৬১(রী-রর)/১৭-১৮ নং কেসের প্রকৃত নামপত্তনকারী রামকৃষ্ণপুরের মৃত শওকাতের পুত্র শাহাবুদ্দীন বলে সুত্র জানায়।
জালিয়াতি করে প্রস্তুত খতিয়ানের খাজনা পরিশোধ করে রবিন সরকারের কাছ থেকে সেই জমি পাঁচপোতা গ্রামের নজরুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহারের নামে দলিল নং ৩৫১৬/২০১৮ রেজি: করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলা
নং-২২২১(রী-র)/২০২২-২৩ রাজপুর গ্রামের মৃত শওকাত আলীর পুত্র আক্তারুল ইসলাম, শ্রীরামপুর গ্রামের আ:ওহাব সরদারের পুত্র জাকির হোসেনের নামজারি কেস নং ২২২১(রী-র)/২০২২-২৩ ও বিক্রমপুর গ্রামের হেদায়েতউল্লাহ গাজীর পুত্র আতিয়ার রহমানের নামপত্তন কেস নং-২২০৮(রী-র)/২০২২-২৩ জমির হিস্যা
সঠিক দেখিয়েছেন কিন্তু মোট জমির পরিমাণ কম দিয়ে দীর্ঘ দিন হযরানী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই তহশীলদারের বিরুদ্ধে।
ভূয়া ওয়ারেশের ব্যাপারে রবিন সরকার বলেন, পাঁচপোতা গ্রামের নজরুল তার কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর করায়ে
নেয় এবং পরে কিছু টাকা দিয়ে জমির দলিল করে নেয়। এ ব্যাপারে পাচপোতা গ্রামের নজরুল জালিয়াতির বিষয় অস্বীকার করে স্ত্রীর নামে এই জমি কেনার
সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে জানার জন্য প্রায় ২মাস চেষ্টা করে সোনাবাড়িয়ার তহশীলদার নিরঞ্জন রায় কোন তথ্য সরবরাহ করেনি। বরং এসব জানতে
চাওয়ার কারণে খোড়া অজুহাত তুলে বচসা করে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি তাহমিনা সুলতানা নীলা বলেন, অনেক আগের বিষয় তিনি জ্ঞাত নন। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে প্রকৃত মালিক আবেদন করলে
সংশোধন করে দেওয়া হবে বলে জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)