মুকুল দেখে আশা জেগেছিলো তবে..
কলারোয়ায় আমের ফলনে স্বপ্নভঙ্গ
আমের মুকুল দেখে আশা আর স্বপ্নে বুক বেঁধেছিলো, সেটা অনেকটা নিরাশা আর দু:স্বপ্নে রূপ নিয়েছে মুকুল থেকে আমে রূপান্তরিত হওয়ার পর। গাছে গাছে আশানুরূপ আমের ফলন না হওয়ায় এমনটাই বলছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার মৌসুমী আম ব্যবসায়ী, আম চাষী ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলাব্যাপী গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট আম। স্থানীয়দের ভাষায় এই ছোট্ট আমকে ‘আমের গুটি’ বলা হয়ে থাকে। তবে যেভাবে আমের মুকুলে গোটা আম গাছ ভরে গিয়েছিলো তেমন আমের ফলন হয়নি। সম্প্রতি ঝড় আর বৃষ্টিতে আমের কিছুটা লাভ ও ক্ষতিও হয়েছে।
উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের মৌসুমি আম চাষী ও ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, সাব্বির হোসেন, বাটরা গ্রামের জুয়েল হোসেনসহ অনেকে জানান, ‘আমের মৌসুমে শুরুতে গাছে যেভাবে মুকুল ধরেছিলো তেমন আমের ফলন হয়নি। মুকুলে বাম্পার হলেও আমের ফলন বেশ কম। এখন দেখা যাক শেষপর্যন্ত উৎপাদন কেমন হয়।’
তারা আরো জানান, ‘অনেকে নিজেদের আম গাছের পাশাপাশি অন্যদের আম গাছ লিজ নিয়ে থাকেন। সেটা ছাড়াও পোকা-মাকর মুক্ত রাখতে ঔষধ স্প্রে থেকে শুরু করে আম গাছ পরিচর্যা ও ফলনের পর সেটা বাজারজাতকরণ পর্যন্ত অনেক পরিশ্রমের পাশাপাশি বেশ খরচ হয়। শেষ পর্যন্ত উৎপাদন ঠিকঠাক থাকলে লাভবান হন আম সংশ্লিষ্টরা।’
জানা গেছে, নিজেদের ও স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে কলারোয়ার আম দেশ-বিদেশে চলে যায়। নানান প্রজাতের ও নামের আম কে ঘিরে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরিবেশ আশার মুখ দেখে এ মৌসুমে। স্বাবলম্বিও হচ্ছেন অনেকে।
ইতোমধ্যে ছোট আকৃতির টক আম বাজারজাত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কলারোয়া উপজেলা সিনিয়র কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হোসেন মিয়া জানান, ‘এ বছর উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হচ্ছে। আশা করি হেক্টরপ্রতি ১৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)