সংখ্যালঘুর কাছ থেকে জোরপূর্বক লক্ষাধিক টাকা ও স্বাক্ষর হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
যশোরের শার্শার গোগা বাজারের কথিত ডাক্তার রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ডেন্টাল ল্যাব টেকনিশিয়ান বিটপ অধিকারীকের কাছ থেকে জোর পূর্বক অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর করে ও লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বিটপ অধিকারী শার্শা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত (৯ জুলাই) শনিবার শার্শার গোগা বাজারের কথিত ডাক্তার রেজাউল ইসলাম এর শোভা ডেন্টাল কেয়ারের ল্যাব টেকনিশিয়ান বিটপ অধিকারীকে ঘরে আটকিয়ে রেখে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ১লক্ষ ৩হাজার টাকা ও ৩শ টাকার ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন।
বিটপ অধিকারী অভিযোগ পত্রে আরও জানান, গত ২ বছর পূর্বে সে গোগা বাজারে রেজাউলের মালিকানাধীন শোভা ডেন্টাল কেয়ার ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। এবং ২০২২ সালের ডিসম্বর মাসে কাজ ছেড়ে চট্রগ্রামে চলে যান।
সেখান থেকে ফিরে বিটপ অধিকারী বাগআঁচড়া বাজারে একটি ঘর ভাড়ানিয়ে সেখানে ডেন্টাল ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ শুরু করেন। খবর শুনে গত ৯ জুলাই শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ডাক্তার রেজাউল ইসলাম এর স্ত্রী শাহানারা আক্তার মিনা তাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও কিছু কাজের কথা বলে বিটকে ডেকে নেয়।
বিপট সেখানে গেলে ডাক্তার রেজাউল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহানারা আক্তার মিনা সহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩/৪ জন বিটপকে ঘরের ভিতর আটকিয়ে হত্যার হুমকি ও বেদম মারধর করে ও তার কাছে থাকা নগদ ৩২হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আরো ৭০ হাজার ৫শ টাকা দাবি করে।
৭০হাজার টাকা নিতে না চাইলে ডাঃ রেজাউল, মিনা ও লাল্টু আমাকে খুন করে লাশ না দিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেয় ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে। বিটপের পরিবার বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে সে টাকা পরিশোধ করেন।
পরে ডাক্তার রেজাউল ইসলাম ৩শ টাকার ৩টি ফাঁকা স্টাম্প স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর করিতে রাজি না হলে রেজাউল বলেন মালাউনের বাচ্চা তুই স্বাক্ষর না করিলে তোকে মেরে ফেলবো। পরে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করা একটি ফটোকপি বিটপের হাতে দিয়ে আইউব হোসেন, পিতা মৃত মহব্বত আলী, লাল্টু গাজী পিতা হাকিম গাজী ও মফিজুর রহমান পিতা মৃত কাদের খান, বিটপ অধিকারীকে বাগআঁচড়া সাত মাইলে নিয়ে এসে তাকে যশোরের বাসে উঠিয়ে দেয়।
এ ব্যাপার জানতে চাইলে রেজাউলের স্ত্রী শাহানারা খাতুন মিনা বলেন, হ্যাঁ আমি একটি মেয়ের প্রলভন দেখিয়ে বিটপকে আমার দোকানে নিয়ে আসি, এবং চেয়ারম্যানের দেওয়া লোকজনকে সাথে নিয়ে আমি টাকাটা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে নিছি। এ ব্যাপারে ডেন্টাল ডাঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি বিটপকে আটকিয়ে (০১৭০৯-৪৩১৫৫১) বিকাশ ও নগদে ৭০হাজার ৫শ টাকা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন বিটপ অধিকারী যশোর জেলার কোন স্থানে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজ করতে পারবে না, যদি করে তাহলে আমাকে ৮লক্ষ টাকা দিতে হবে। কেনো দিতে হবে এই টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন তিনি আমার এখানে কাজ করবে না যাহার ক্ষতিপূরণ বাবদ এই টাকা আমি নিবো। কোন ক্ষমতা বলে এটা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজে থেকে করেছি আমার ক্ষমতায় করেছি। এতে কি সমস্যা? আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আপনারা কিছু করেন। সাংবাদিক দেখার সময় আমার নাই। এসব আমারও আছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তবিবুর তবির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত আছি ১ঘন্টা পরে জানাবো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, আমি বেনাপোলে নির্বাচনের কাজে আছি, বিষয়টি পরে জানাবো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)