বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা

আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় আন্দোলন সংগ্রামে হালে পানি পাচ্ছে না। তৃণমূল পর্যায় নেতা কর্মীদের চলছে চাপা ক্ষোভ কারণ কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক কর্মসূচি পালনে হচ্ছে ব‍্যার্থ, কারণ সাধারণ কর্মীরা পড়েছে বিপাকে কে কার তা নিয়ে দেখা দিয়েছে রিতীমত দন্দ।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলীকে আহ্বায়ক এবং লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমকে সদস্য সচিব করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। ওই চিঠিতে ৩ মাসের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৯টি ইউনিটের কমিটি গঠন করে জেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

তবে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি তিন বছর দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত হয়নি জেলা বিএনপির ৯টি ইউনিটের কোন কমিটি। এছাড়া কমিটি গঠনের কোনো প্রক্রিয়া এখনও শুরু করিনি। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৭ টি উপজেলার মধ‍্যে ৪টি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও পরদিন সাতক্ষীরা পৌরসভা ও চারটি উপজেলায় বিএনপির পালটা কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, আব্দুর রউফ ও মৃণাল কান্তি রায়।

পালটা-পালটি কমিটি দেয়ায় উভয় কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। ফলে আহ্বায়ক কমিটিতেই আটকে আছে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি। ৪ বছরেও জেলা বিএনপির কোনো ইউনিটের কমিটি গঠিত না হওয়ায় বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিমের স্বজনপ্রীতি, পকেট কমিটি গঠনের কুচিন্তা ও জনবিচ্ছিন্নতাকেই দায়ী করছেন বিএনপির পদপ্রত্যাশী ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

তারা অভিযোগ করে বলছেন, চলতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির কতিপয় নেতা দায়িত্বে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেয়ার বাসনায় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছেন। তাই ৪ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত কোন ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।

তবে কমিটি গঠনের প্রায় ২৫ মাস পরে আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, সাতক্ষীরা পৌর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটার কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিম। ওই কমিটিতে নিজের স্বজন ও বহিরাগতদের স্থান দিয়ে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগে পরদিন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পালটা কমিটি ঘোষণা করেন তিন যুগ্ম আহ্বায়ক তারেকুল হাসান, আব্দুর রউফ ও মৃণাল কান্তি রায়। তবে কোন কমিটিই বৈধতা পায়নি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। ফলে উভয়পক্ষের কমিটি স্থগিত করে দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি রায় অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সাংগঠনিকভাবে একেবারে ব্যর্থ। তাদের ব্যর্থতা ও স্বজনপ্রীতির কারণে এখনও পূর্ণাঙ্গ কমটি হয়নি। তারা আমাদের কোনো মতামত না নিয়েই গত ৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব যে কমিটি গঠন করেছিলেন সেখানে তাদের আত্মীয়দের বড় বড় পদে স্থান দেয়া হয়েছিল।

যাদের আমরা কখনও রাজনীতির মাঠে দেখিনি তাদের সামনে আনা হয়েছে। সামনে নির্বাচনকে রেখে অনতিবিলম্বে এই আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী ও সদস্য সচিব আব্দুল আলিম প্রত্যেকটি ইউনিটে পকেট কমিটি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

তবে আমরা চাই প্রত্যেক ইউনিটে কমিটি হবে ওপেনলি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এবিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম এর ব‍্যবহিত মোবাইল ফোনে কল করে বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অভিযোগ করে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসান বলেন বতর্মান কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব সাংগঠনিক ভাবে খুবই দূর্বল এবং আহবায়ক ইফতেখার আলী একজন সংচকার পন্ধী ব‍্যাক্তি, সে অন এলিভেনে বেগম খালেদা জিয়ার মাইনাস করতে চেয়ে ছিল তাই সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি নিরাপদ নয়।

অপর যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি খুব শক্তি শালী কিন্তু নেতা কর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত, তাই কেন্দ্রীয় বিএনপি আমাকে জেলা সমন্বয়ক হিসেবে নির্বাচন করে এবং আমি বিদ্দোমান দুই গ্রুপ এক করার চেষ্টা করি কিন্তু তারিকুল হাসান এর পক্ষের নেতা কর্মিরা প্রসতাপে কোনো সাড়া না দেওয়াই বার বার ব‍্যার্থ হয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশ পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি গেল মাসের ২১ সেপ্টেম্বর সদর, সাতক্ষীরা শহর, আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি দেওয়া হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩ সেতু

পানির তীব্র স্রোতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে গেলো বেত্রবতী নদীর ৩বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে পবিত্র সিরাতুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিত

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে পবিত্র সিরাতুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার জনজীবন

সাতক্ষীরা জেলার জনজীবন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্রমাগতবিস্তারিত পড়ুন

  • দেবহাটায় সিভিএ প্রক্রিয়াগুলির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সভা
  • সামাজিক ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিতে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই : উপদেষ্টা নাহিদ
  • ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার মানে প্রশাসন ব্যর্থ’ : মির্জা ফখরুল
  • ঢাবিতে চোর সন্দেহে যুবকেকে নির্যাতন করে হত্যা, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
  • আরেকটি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী
  • চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
  • সাতক্ষীরায় দুই গ্রাম ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নারীর সংবাদ সম্মেলন
  • কলারোয়ায় দুর্গোৎসবে সম্প্রীতি রক্ষায় পাশে থাকবে বিএনপি
  • প্রাইম ব্যাংক’র সাথে চুক্তি করলো নিওফারমার্স
  • যশোরের গনসমাবেশকে জনসমুদ্র করার লক্ষ্যে শার্শায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা
  • বাকসা হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আবুল হাসান আর নেই! দাফন সম্পন্ন