ব্যর্থতায় বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ; কারো কথার মিল নেই: ওবায়দুল কাদের
মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা সরকারের আছে কিনা-এমন প্রশ্নে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে?
তিনি বলেন, এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।
রাজধানীর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি,এয়ারপোর্ট-গাজীপুর) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় নির্মিত সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধীতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?
সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদানপ্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কি না!
‘একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কি না; তা বলবো কী করে,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এখন আমির খসরু বলেন একটা, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খান বলেন ভিন্ন কথা।
বিএনপির একেক নেতা একেক সুরে গেয়েছেন। আমি এখন শুনতে চাইবো, বিএনপির মহাসচিব, তিনি কী বলেন। দলের একজন মুখপাত্র আছেন। দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল কী বলেন, সেটা শুনতে চাইব। হাফিজ সাহেব কী বললেন, রিজভী কী বললেন, মঈন খান কী বললেন, আমির খসরু কী বললেন, সেটা না, আমরা মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাইবো, যেহেতু তিনি মহাসচিব।
বিএনপি নেতারা কারও কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে বলেছেন এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এ কথা বলার কোনো উপায় থাকে? একেক জন একেক কথা বললেন। এক সেন্টার থেকে তারা সব শুনছে, তারা লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে, তাদের ঠিকানা তো লন্ডন, সেখান থেকে শুনলে তো এক কথা শুনবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)