ষড়যন্ত্রের স্বীকার হোটেল রাজ’র মালিক রেজাউল ইসলাম, সুষ্ঠ তদন্তের দাবী পরিবারের
হোটেল রাজ’র মালিক রেজাউল ইসলামকে নিয়ে ষড়ষন্ত্র করছে একটি কুচক্রী মহল। তার ব্যবসার সুনামসহ মান সম্মান নষ্ট করতে পিছন থেকে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। সাতক্ষীরার শহরের মুনজিতপুরস্থ গোলাপ গাজীর ছেলে হোটেল রাজ’র স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের প্রথম স্ত্রী দুই সন্তান রেখে মারা যাওয়ায় তিনি পারিবারিকভাবে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পুরাতন সাতক্ষীরার ডাঙ্গীপাড়ার মুছা সরদারের কন্যা রেবেকা খাতুনকে।
হোটেল রাজ’র স্বত্বাধিকারী রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর রেবেকার পরিবার বলেন, রেবেকা নিঃসন্তান, তার কখনও কোন সন্তান হবেনা। সে বন্ধ্যা। এই শর্তে আমি নগদ ৫ হাজার টাকাসহ ১ লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ করি রেবেকাকে। আমার সংসারে আসার আগেও রেবেকা খাতুন কোন সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম না হওয়ায় এর আগেও তার দুই স্বামীর ঘরে সংসার ভেঙেছে। আমার প্রথম স্ত্রীর দুইটি সন্তান আছে। তাই রেবেকা বন্ধ্যা ও নিঃসন্তান হওয়ায় আমি আমার সন্তানদের কথা ভেবে দুই পরিবারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। প্রথম দুই বছর ভালোভাবে চলছিল আমাদের সংসার। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ আমাকে বলে আসছিল তুমি মারা গেলে আমার কি
হবে। আমি বলেছিলাম মারা যাওয়ার আগে তোমার জন্য আশ্রয়স্থল ও তুমি যেন কিছু করে খেতে পারো সে ব্যবস্থা আমি করে যাবো। গত ৪ মাস আগে কোরবানী জন্য আমি একটি গরু কিনে সমস্ত খরচ দিয়ে রেবেকার বাড়িতে লালন পালন করতে দিয়েছি। গরুটির বর্তমার বাজার মূল্য এক লক্ষ টাকা। বিয়ের দুই বছর পার হতে না হতেই সে আমার কথা অমান্য করে বেশিরভাগ সময় আমার বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে অবস্থান করতো এবং আমার বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় তার প্রয়োজনীয় টাকা নিয়ে চলে যেত। সে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার নির্দেশ অমান্য করে স্বেচ্ছাসেবকের কাজে দুই দিন বাড়ির বাহিরে রাত্রি যাপন করে। তার কিছুদিন পর হঠাৎ সে আমাকে বলে আমি মা হতে চলেছি। সে সাংসারিক জীবনে ও আমার পরিবারে বিভিন্ন কলহ সৃষ্টি করতো। সে আমার নির্দেশ অমান্য করে চলতো। সে নিঃসন্তান ও বন্ধ্যা নারী বলে আমার সাথে চরম প্রতারণা করেছে। অথচ সে কিভাবে সন্তান ধারণ করেছে।
এঘটনায় পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার আমার ভাবমুর্তি নষ্ট ও মানহানী করতে কুচক্রী মহলের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
এছাড়াও সাংসারিক বিভিন্ন কারণে এবং আমার সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় আমি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক গত-১০/০৩/২০২৪
তারিখে তাকে আইনানুগভাবে তালাক প্রদান করেছি। ডিএনএ টেস্টে যদি প্রমাণ হয় তার গর্ভের সন্তান আমার। তাহলে আমি সেই সন্তানের স্বীকৃতি দেব। তবে ঘটনাটির সঠিক তদন্ত করার দাবী জানাচ্ছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)