জুলাই-আগস্টের অপরাধের সঙ্গে হাসিনার সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে


‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে প্রধান আসামি শেখ হাসিনাসহ তার অধস্তন সাবেক মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ‘শেখ হাসিনার বিচারের অগ্রগতি নিয়ে’ প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা আজকে ভালো খবর দেওয়ার জন্য আপনাদের আহ্বান জানিয়েছি। আপনারা জানেন যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্টের পরে পুনর্গঠিত হয় এবং গত ৫ সেপ্টেম্বর আমাকে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পরে দায়িত্ব নেওয়ার পর যে সরকার গঠিত হয় তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে জুলাই-আগস্টের সংঘটিত যে মানবতাবিরোধী অপরাধ সেই অপরাধের দায়ে যে সব ব্যক্তি দোষী তাদের বিচারের মুখোমুখি করা, আইনের মুখোমুখি করা।
তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থা এবং ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে আমরা দায়িত্ব পালন করা শুরু করি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন মানবতাবিরোধী অপরাধ জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হয়েছে সেটা ছিল ওয়াইডস্প্রেড, সিস্টেমেটিক্স ও সেটা বাংলাদেশজুড়ে সংঘটিত হয়েছিল। এটার স্থান ছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে বিস্তৃত। এর সঙ্গে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে, লাখ লাখ রাউন্ড বুলেট, আগ্নেয়াস্ত্র ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এপিসি, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে জুলাই-আগস্টে নিরস্ত্র শান্তিকামী পরিবর্তনকামী ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে তাদের নির্মূলের চেষ্টা করা হয়েছে।সেই অপরাধের ব্যাপকতার নিরিখে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে যেখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের নিষ্ঠুরতা সংঘটিত হয়েছিল সেগুলোকে আলাদাভাবে ধরে তদন্ত রিপোর্ট সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি ও তদন্ত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এ অপরাধের যারা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন যারা ক্ষমতার শীর্ষবিন্দুতে থেকে তাদের ক্ষমতায় থাকাটাকে চিরস্থায়ী করার জন্য বৈধ ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় সরকারি বাহিনীগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন— প্রধানমন্ত্রী যিনি সেই সময় ছিলেন তার সরাসরি নিদের্শে তার নিচের লেভেলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং কিছু সিভিল কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা আমরা তদন্তে পেয়েছি।
তিনি বলেন, এ তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় আপনাদের আমরা সবসময় বলেছি, প্রধান আসামি শেখ হাসিনাসহ তার সুপিরিয়র কমান্ডের তদন্ত আলাদাভাবে হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে যেখানেই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, প্রত্যেকটার সঙ্গেই তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
