৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুই কিশোর
গাজীপুরে দুই কিশোর মিলে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখার ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হচ্ছে- যশোরের ঝিকরগাছা থানার কুন্দিপুর এলাকার মো. আব্দুল করিমের ছেলে মো. রাসেল ওরফে রাহুল (১৪) ও গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার নসিব সিকদারের ছেলে সবুজ (১৪)।
বিকেলে গাজীপুর পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
তিনি জানান, গত ২৯ অক্টোবর নগরীর কাশিমপুর বাগবাড়ী এলাকার ক্যাপ ফ্যাক্টরির পশ্চিম পাশে জনৈক মো. কফিল উদ্দিনের নির্মাণাধীন পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ের বালুর নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক শিশুর মাথার খুলি, ১৯টি হাড়, চামড়া ও একটি হাফপ্যান্ট উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটি ওই এলাকার মনোয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে রিয়া মনি বলে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
শিশু নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর শিশুটির মা শ্যামলী বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। শিশুটির বাবা-মা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
আলোচতি এ মামলাটি পিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত হলেও গত রোববার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন কুন্দিপুর নিজ বাড়ি থেকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কিশোর মো. রাসেল ওরফে রাহুলকে (১৪) গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে তার সহযোগী ও বন্ধু সবুজকে (১৪) তার বাড়ি কাশিমপুরের বাগবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রাসেল ও সবুজ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানায়, তারা শিশুটিকে বিভিন্ন সময় চকলেট ও বিস্কুট কিনে দিত। ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা দুইজন মিলে রাসেলের ঘরের মধ্যে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। সে ঘটনাটি তার বাবা-মাকে বলে দেয়ার কথা বললে তারা তাকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ ওই এলাকার নির্মাণাধীন পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ের বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)