ছেলের হাতে মায়ের প্রেমিক খুন, ৬টি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ


মাদারীপুরের ডাসারে মায়ের পরকীয়ার জের ধরে ছেলের হাতে জাহিদ মীর (২০) নামের এক প্রেমিক খুন হয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা সোমবার সকালে অভিযুক্ত ছেলের বসতঘরসহ ৬টি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে খুনের ঘটনায় ওই এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাসার থানার বালীগ্রাম এলাকার ঘুঙ্গিয়াকুল গ্রামের মজিবর মীরের ছেলে টাইলস মিস্ত্রী জাহিদ মীরের সঙ্গে মাদারীপুর জেলার ঝাউদি এলাকার কালাইমারা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া চলে আসছে। এ নিয়ে প্রবাসীর ছেলে ও জাহিদের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। গত শনিবার দিবাগত রাতে জাহিদ মীর ওই প্রবাসীর বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে নাচতে যায়। এ সময় জাহিদকে প্রাবাসীর ছেলে বাড়ির একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে বসে প্রবাসীর ছেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে জাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার দিবাগত রাতে জাহিদ মীর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তার মৃত্যুর খবর এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযুক্তদের ৬টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এতে করে সমস্ত ঘরসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে কালকিনি ও ডাসার থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সোমবার সকালে থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় ওই এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
নিহতের ভাবি পিপাষা বেগম বলেন, বিয়ে অনুষ্ঠানে আমার দেবর জাহিদ নাচতে গেলে তাকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে প্রবাসীর ছেলে ও তার লোকজন। আমরা তাদের সঠিক বিচার চাই।
নিহতের ভাই আসাদ মীর বলেন, হত্যাকারী প্রবাসীর ছেলের মামার প্রভাবেই আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।
তবে এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্তদের কাউকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, হত্যার ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিডি প্রতিদিন

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
