রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

করোনা আর বন্যায় ভাইসা গেছে ঈদের আনন্দ

আমাগো ঈদের আনন্দ করোনা রোগ আর বন্যার পানিতে ভাইসা গেছে। কোরবানির ঈদে এক টুকরা মাংস তো দূরের কথা, একটু স্যামাইও জুটে নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন, দিনমজুর নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ছিল ভূঞাপুর উপজেলার কোনাবাড়ি চরে। ১০ বছর আগে যমুনায় বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। তারপর গোবিন্দাসি ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। নুরুলের সেই ঘরও এখন বন্যার পানিতে থইথই। তাই গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস আগে থেকে নিয়মিত কাজ পান না। সঞ্চয় যা ছিল, তা শেষ। এক মাস ধরে বন্যার কারণে এই সড়কের পাশে রয়েছেন। খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ঈদের আনন্দ বলে কিছু তাঁদের নেই।

শুধু নুরুল ইসলাম নন। তাঁর মতো পাঁচ শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের পরিবার আশ্রয় নিয়েছে গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে। ১আগস্ট শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো কেউ পলিথিন দিয়ে, কেউ টিন দিয়ে ডেরা বানিয়ে বসবাস করছেন। ঈদের আনন্দ নেই মানুষগুলোর মধ্যে।

সড়কের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মামুন মিয়া বলেন, ‘এহানে যারা আছে তাগোরে কারও কোরবানি তো দূরের কথা, তিন বেল খাবার সামর্থ্যই নাই।’ কাইঞ্জা শেখ বলেন, এক মাস ধরে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে ঈদের দিনেও কোনো আনন্দ নেই।

বিকেল চারটার দিকে সড়কটির কষ্টাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পলিথিনের ডেরার ভেতর জহুরা বেগম নামের এক নারী রান্না করছেন। ঈদের দিন, মাংস রান্না করছেন কি না, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ডাইল-ভাত জুটে না, মাংস পামু কনে। গ্রামে থাকলে সমাজের মাংস কিছু পাওন যাইত।’ জহুরা বেগমের সঙ্গে কথা বলার সময় আশপাশের ডেরা থেকে লোকজন এসে ভিড় করতে থাকেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, ত্রাণ দেওয়ার জন্য নাম লেখা হচ্ছে। তালিকায় নাম তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। আসলে তা নয়, বিষয়টি জানতে পেরে সবার মন খারাপ হয়ে যায়।

রেনু বেগম নামের এক নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে একবার ১০ কেজি চাল পেয়েছিলেন। এখন খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে। তাই ঈদের দিনও তাঁদের কাছে অন্য দিনের মতোই অভাবের।

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, এই সড়কটিতে গোবিন্দাসি ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এরা বেশির ভাগই যমুনার ভাঙনে বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা হারিয়েছেন। সব হারিয়ে কেউ সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অথবা আশপাশের গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকছে।

গোবিন্দাসি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সড়কে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত লোকজনকে স্থানীয় সাংসদ ও ইউপির পক্ষ থেকে একাধিকবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র প্রথম আলো

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় যুবদলের বর্ধিত সভা

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা যুবদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ICT কোচিং সেন্টারবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা বিজিবির বিশেষ অভিযানে সত্তর হাজার টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

আব্দুল করিমঃ সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) বিশেষ অভিযানে সত্তর হাজার টাকার ভারতীয়বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার শহরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পৌর ৯নম্বর ওয়ার্ডেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় সাতক্ষীরায় কৃষক সমাবেশ স্থগিত
  • নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার হিফজুল কুরআন বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ
  • সাতক্ষীরা জেলা রোভারের দুই স্কাউটারকে স্বপ্ন সিঁড়ির সংবর্ধনা
  • ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় বিশতম কবিতা উৎসব’২৪ অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রী অপহরণ: ৩ জনের নামে থানায় মামলা
  • হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে
  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ কমিটি গঠন
  • কলারোয়ায় মা’হাদ আল বানাত আস সালাফী মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
  • বিজিবি’র অভিযানে তলুইগাছা থেকে ১০ কেজি রূপার গহনা ও মোটরসাইকেলসহ আটক-২
  • দেবহাটায় রপ্তানির পূর্বে পুষকৃত বিপুল পরিমান চিংড়ি জব্দ, পুড়িয়ে বিনষ্ট