করোনার টিকা দিয়ে সম্মানি এক টাকা পশ্চিমবঙ্গে
করোনা টিকে দিয়ে দিলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মানুষ প্রতি এক টাকা করে সম্মানি দিচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। এই সম্মানি দেখে ক্ষুব্ধ ওই রাজ্যের কয়েকশো টিকাদান কর্মী। তারা বলছেন, এই সম্মানি দেয়ার চাইতে না দিলেই ভাল হত। খবর আনন্দবাজারের।
১৬ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে টিকাদান। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি সেন্টারে প্রতিদিন ১০০ জন করে টিকাদেয়া হচ্ছে। একটি টিকাকেন্দ্রে চারজন করে টিকাদাতা থাকেন। প্রতি দিনের জন্য একজন টিকাদানকারীকে ১০০ টাকা করে বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।
সঠিক জায়গায় ভ্যাকসিন দিতে গেলে ন্যূনতম চিকিৎসা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সম্পাদক মানস গুমটা প্রশ্ন করেছেন, ‘সেই জ্ঞানের মূল্য এক টাকা? ভিক্ষুকও আজকাল এক টাকা নেয় না। এই টাকা দিয়ে টিকাদানকারীদের অপমান করা হচ্ছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে টিকাদান শুরু করে এই অবস্থা!’
প্রতি টিকাদাতার জন্য ফেসশিল্ড, মাস্ক, স্যানিটাইজার বাবদ বরাদ্দ হয়েছে ২৫ টাকা। সে অর্থ নিয়েও চোখ কপালে টিকাদাতাদের। রাজ্যের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানেও ওই টাকায় গ্লাভস মেলে না।
ডা. মানস গুমটা বলেন, ‘স্যানিটাইজারের প্রস্তুতকারক আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহলের দামই তো উঠবে না ওই টাকায়। স্বাস্থ্য বিভাগ মনে হয় স্যানিটাইজারের বোতলে পানি ভরে ব্যবহার করতে বলছে।’
অন্য একটি সূত্রের খবর, করোনা ভ্যাকসিন দিতে টিকাদাতাদের জন্য প্রতি ১০০ জনের জন্য প্রথমে ৪০০ টাকা করে বরাদ্দ হয়েছিল। কমতে কমতে তা এখন ১০০ টাকায়।
দেশটিতে প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মতো প্রথম সারির কর্মীরা টিকা পাবেন। তার পরের ধাপে পুলিশ এবং তৃতীয় ধাপে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এবং চতুর্থ ধাপে সাধারণ মানুষ টিকা পাবেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)