সংসদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি
করোনায় বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। এ ব্যাপারে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা এতে খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের দুই সংসদ সদস্য এ দাবি করেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি মোতাহার হোসেন আরও বলেন, তিস্তা নদী তার এলাকার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে পানি নেই। হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। ভারত থেকে যে পানি আসে তা খুবই সামান্য। এতে আবাদের কাজ হয় না। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হলো না। যত দ্রুত সম্ভব এ চুক্তি করা গেলে ওই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেন তিনি।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান ও পর্যটন খাত। শুধু আমাদের দেশ নয়, সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বিভিন্ন নির্দেশনা ও কর্মসূচির কারণে আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। করোনার সময় বিমান বন্ধ ছিল, সারাবিশ্বেই ছিল। তারপরও আমরা বিমানকে সচল রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি ক্ষতিটা কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার। এখনো অনেক দেশে বিমান বন্ধ। কিন্তু আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুটি নতুন অত্যাধুনিক বিমান আসছে। এ বিমান দুটি করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে উন্নীত করা। সে অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি। কক্সবাজার বিমানবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি করা হবে।
সরকারি কাজেও পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকারি দলের আনোয়ারুল আবেদিন খান। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সংসদে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিয়ে একটি আইন পাস হয়েছিল। কিন্তু আইন পাসের পর সেটা যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এটি করার অর্থ কী?
স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল কোনো বিভাগই টেন্ডারে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে না। যে কারণে এই ইট ব্যবহার হচ্ছে না। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা করতে ৮৫ লাখ টাকা লাগে। প্রধানমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু রাস্তা করার পর ছয় মাসও রাস্তা ধরে রাখা যায় না।
এছাড়া সরকারি দলের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, সংরক্ষিত নারী আসনের খালেদা খানম, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)