কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বরসতী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে
কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিভিন্ন মন্দিরে ও বাড়িতে বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী স্বরসতী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সকাল থেকে শুরু করে কলারোয়া উপজেলার মন্দির গুলোতে ও বাড়িতে বাড়িতে মহা ব্যাস্ততার মধ্য দিয়ে বিদ্যার দেবী স্বরসতী পুজার আয়োজন করা হয়েছিলো। আর তাই সকাল থেকে মন্দির ও বাড়ি থেকে ভেঁসে আসছে উলুর ধ্বনি ও শঙ্কের ধ্বনি।
সকাল থেকে তড়ি ঘড়ি করে শ্নান শেরে একটু সেজে গুজে বইটি হাতে নিয়ে মন্দিরের উদ্যেশে ছাত্র ছাত্রীদের যেতে দেখা গেছে কারণ আজ যে স্বরসতী পুজা বিদ্যার দেবী।
সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে কলারোয়ার সকল ইউনিয়নের সনাতন সম্প্রদায়ে মধ্য খুশির আমেজ বিরাজ করছে। ভোরবেলা থেকেই বাড়িতে বাড়িত শুরু হয়ে গিয়েছিলো পুজোর তোড়জোর৷ সকাল থেকেই ঘরে ঘরে উলুর ধ্বনি, শাঙ্কে ফুঁ৷ বিদ্যার দেবী স্বরসতি কে নিবেদন করে কলমে ফুঁটিয়ে দেওয়া নারকেলের কুল দোয়াতে ভরে তার সম্মুখে নিবেদন করা হয়৷ আজ আবার খুদেদের হাতে খড়িরও দিন শিক্ষার শুরু আজ থেকে।চলছে পুষ্পাঞ্জলি, ফলপ্রসাদ ও ভোগ বিতরণ। ধূপ ও ধুনোর গন্ধে গোটা মন্দির ও ঘরে পুজো পুজো ভাব৷
শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পুজো করা হয় সাধারণ আচারাদি মেনেই। তবে এই পুজোয় বেশ কয়েকটি বিশেষ উপাচার বা সামগ্রীর প্রয়োজন হয়৷ যেমন অভ্র-আবির, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম, যবের শিষ, বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল। লোকাচার অনুসারে ছাত্রছাত্রীরা পূজার আগে কুল ভক্ষণ করে না। পুজোর শেষে হয় পুষ্পাঞ্জলি। পরদিন সকালে ফের একবার পুজোর পর চিড়ে ও দই মেশানো দধিকর্মা ঠাকুরকে নিবেদন করে পুজো শেষ হয় ৷ কোনও কোনও পরিবারে এদিন অরন্ধন পালন ও ‘গোটা-সেদ্ধ’ খাওয়ার প্রথাও রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)