ফেসবুকের জরিমানা ৬৫ কোটি ডলার
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। ২০১৫ সালে শিকাগোর অ্যাটর্নি জেনারেল জে অ্যাডেসন ফেসবুকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এই কারণেই ৬৫ কোটি ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে ফেইসবুককে।
বিচারের সময় প্রমাণ হয়েছিল, ফেসবুক ফেস-ট্যাগিং ফিচারের জন্য ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই মানুষের মুখের ডিজিটাল স্ক্যান বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষণ করে ইলিনয় আইন লঙ্ঘন করছে।
এরপর ২০১৯ সালে ফেসবুক ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচারকে ঐচ্ছিক করে।
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ১৬ লাখ বাসিন্দাকে যত দ্রুত সম্ভব এ অর্থ পরিশোধ করতে ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দুই পক্ষের আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতের বাইরেই নির্ধারিত হয়েছে জরিমানার এ পরিমান।
মামলায় দাবি করা হয়েছিল, ২০০৮ সালের ইলিনয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করে ফেসবুক বায়োমেট্রিক ডাটা ও ফেস সংগ্রহ করেছিল।
২০১৮ সালে এটি ক্ল্যাশ অ্যাকশন মামলায় পরিণত হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে মামলায় হেরে গিয়ে ফেসবুক ৫৫ কোটি ডলার জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছিল। জুলাইয়ে মামলার বিচারক জেমন ডোনাটো এ অর্থকে অপ্রতুল হিসেবে রায় দেন।
বিচারক ডোনাটো বলেন, ‘এ মীমাংসা একটি মাইলফলক এবং ডিজিটাল গোপনীয়তা নিয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাহকদের জন্য বড় জয়।
মামলার বাদী প্রত্যেকে অন্তত ৩৫৫ ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। ‘
এছাড়াও, ক্লাস অ্যাকশন মামলায় ৬৫ কোটি ডলারে বিষয়টি মীমাংসার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে নিশ্চিন্ত করেছেন মার্কিন ফেডারেল বিচারক নিশ্চিন্ত করেচে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)