কলারোয়ায় বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, হতাশায় সাধারণ মানুষ


কলারোয়া বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশায় সাধারণ মানুষ। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতার কমতি নেই।
একদিকে করোনা অন্যদিকে চলছে রমজান মাস। এর মধ্যেই বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। হতাশা পিছু ছাড়ছে না সাধারণ মানুষদের।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষ, তার উপর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি তাদের বাড়তি কষাঘাত।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুন। কলারোয়া বাজার ঘুরলে দেখা মেলে ভোগ্য পন্যের এমন চিত্র।
সোমবার (৩ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশী মশুরের ডাল কেজিতে বেড়েছে ১৫-২০টাকা, রশুন বর্তমানে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, আদা ৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা বাজারেও প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ টাকায়, ঢেড়শ, বরবটি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
এদিকে রমজান মাস শুরু হওয়ায় ৫০ টাকার মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০টাকায়, পরিস্কার হাতের মুড়ি ৯০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১২০টাকা, ৭০ টাকার আখের গুড় ১০০টাকার উপরে।
মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ইফতার তৈরীর সামগ্রীর দামও বেড়েছে। খেশারী ডাল ১০০ টাকা, বেশন ১২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে গ্রামের হাটবাজার গুলোতেও সব পণ্যের দাম বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা ছোট খাটো বাজার গুলোতেও নিত্য ভোগ্য পন্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাজারে আসা ক্রেতা আদিত্য, শাহীদ, সবুজসহ অনেকে জানান, এই গরমে রমজান মাসে তরমুজ ফলের দাম আগুন, পিচের পরিবর্তে তরমুজ এখন কেজিতে বিক্রি হয়, সেটা আবার কেজিপ্রতি ৫০ টাকার মতো।
এক তরমুজ ব্যাবসায়ী বলেন, তারা তরমুজ ১০০ বা ১৫০ তরমুজের লাট কেনেন ১৫০০০ থেকে ১৮০০০ টাকায়। সেটা ওজনে বিক্রি করেন।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের দিন কাটছে অনেক কষ্টে। তার উপর রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয় থাকায় যেন মরার উপর খারার ঘাঁ।’
মুদি ব্যবসায়ী মাসুদ স্টোরের মালিক শেখ শাহীদ হাসান বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যই বর্তমানে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে পণ্য পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে। তাই পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।’
মাঝে মধ্যে ভোগ্যপন্য নিয়ন্ত্রনে ভ্রাম্যমান আদলত অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ড দিলেও পরক্ষনে আবার যেই সেই বাজার মূল্য।
ভূক্তভোগিদের দাবী শুধু অর্থদন্ড দিলেই থামবেনা বাজারের উর্ধ্বগতি। অধিক মুনাফাখোর বাজার নিয়ন্ত্রনকারী সিন্ডিকেটদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনা ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং জরুরী।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
