বাগআঁচড়ায় করোনা ঝুঁকি থাকলেও কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি!
সাতক্ষীরা জেলায় লকডাউনের কারণে ওই রুটের পরিবহনের সাময়িক টার্মিনাল করায় যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকায় করোনা ঝুঁকি বেড়েছে।গত কয়েক দিনের ব্যবধানে এখানে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
সাতক্ষীরা জেলায় করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। যে কারণে সাতক্ষীরার সকল পরিবহনগুলো বাগআঁচড়া বাজারে জড়ো হচ্ছে। এখানে তারা যাত্রী নামিয়ে নতুন যাত্রী নিয়ে ফিরে যাচ্ছে যশোর, ঢাকায়। সাতক্ষীরা জেলার মানুষজন ভিন্ন ভাবে এখানে এসে পরিবহণযোগে যশোর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন। তারা কোনো স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। যাত্রীদের কারোর মুখে মাস্ক নেই। থাকছে না সামাজিক দুরত্ব। প্রশাসনের কোনো খবরদারিও নেই। যাত্রীরা সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বাজারে ঘোরাফেরা করছেন। ইচ্ছেমতো চা, মুদি কনফেকশনারির দোকনে ভীড় করছেন। চা খাচ্ছেন, সিগারেট টানছেন। এর পর ঢাকার পরিবহন গুলোতে উঠে চলে যাচ্ছেন। এ সব কারণে এখন বাগআঁচড়ার মানুষ করোনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
চালিতাবাড়িয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পূর্বের তুলনায় সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাদের অধিকাংশ শ্বাসকষ্ট ও মুখের স্বাদ-গন্ধ নির্ণয় করতে পারছে না। অধিকাংশ রোগীর সিনটম দেখে মনে হচ্ছে করোনা পজিটিভ। করোনা পরীক্ষা না করায় চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যতদূর পারছি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। আর না পারলে বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
বাগআঁচড়া জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে প্রতিদিন বিশ ত্রিশজন করে রোগী আসছেন। আমাদের কাছে করোনাভাইরাস চিহ্নিতকরণের কিট না থাকায় সর্দি, জ্বর বা গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর সদর হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
সাথে সাথে রেগীদের আত্মঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয় বাজারের ফার্মেসি গুলোতে সর্দি-কাশি-জ্বরের ওষুধ বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কেমিস্ট্রি এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি শার্শা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শত শত প্রেসক্রিপশন আসছে ফার্মেসী গুলোতে। এছাড়াও অনেক রোগী এসে নিজেরা ঔষধ চাইছেন। তবে সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, ‘উপজেলায় সাড়ে চারশতোর মতো করোনা আক্রান্ত রোগীকে হোম কোয়ারাইন্টাইনে রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন করোনা টেস্ট করা যাচ্ছে। বন্দর কেন্দ্রিক যাত্রীর কথা ভেবে ১৮ মে করোনা টেস্টের জন্য এখানেই ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অনীহার কারণে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হারে টেস্টের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় টেস্টের জন্য আসছেন তাদেরকেই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)