দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: বাবুনগরী
কঠোর লকডাউনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও মহাসচিবসহ চার নেতা।
বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেফাজতের আমির।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাবুনগরী বলেন, মন্ত্রী তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেফাজত নেতারা একটি কালো রঙের গাড়িতে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে ঢোকেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মন্ত্রীর বাসভবন ত্যাগ করেন তারা।
তবে সেসময় সংবাদমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের কোনো উত্তরই দেননি।
বাবুনগরী বলেন, ‘বৈঠকে আলেম-উলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ এবং কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, হেফাজতের বিরুদ্ধে যে সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। কিছু দুষ্কৃতকারী হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। তাদের খুঁজে বের করারও দাবি জানিয়েছি।’
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদি, জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির আবদুল আওয়াল, প্রচার সম্পাদক মুহিউদ্দীন রাব্বানী, আবদুল কাইয়ুম সুবহানী ও জহুরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৪ মে নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে হেফাজতের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি ও কোনো ধরনের সহিংসতা না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তারা।
গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার।
সংগঠনের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধরপাকড়ের মধ্যে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একপর্যায়ে হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে গ্রেপ্তার নেতাদের বাদ দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)