দেদারসে চলছে চোরাচালান
শ্যামনগরের কৈখালী সীমান্ত চোরাচালানের নতুন রুট!
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কৈখালী ইউনিয়ন ১৪ কিলোমিটার সীমান্ত। এ সীমান্তের এক পাশে বাংলাদেশের সুন্দরবন, অন্য পাশে ভারত সীমান্ত। বর্তমানে চোরাকারবারীরা এ সীমান্তকে চোরাচালানের নুতন রুট হিসেবে বেছে নিয়ে দিদারসে চালাচ্ছে চোরাকারবার।
প্রতিদিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে নদী পার হয়ে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য, গরু, মাছের রেণু পোনাসহ অবৈধ বিভিন্ন মালামাল পাচার করে নিয়ে দেশে আসছে। সেই সঙ্গে চলছে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের ঘটনাও।
একাধিক সীমান্ত সূত্র জানায়, ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ মালামাল কৈখালী ব্রিজ, পরানপুরের রাস্তা ভেড়ার মোড়, টেংরাখালী, গোলাখালী ও রমজাননগর রাস্তা হয়ে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। আর এ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের জন্য সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ পাচারচক্র। প্রায়ই পাচারকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও অধিকাংশ সময় তারা থাকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আবার, ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বেরিয়ে ফের লিপ্ত হয় চোরাচালানে।
সীমান্তের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কৈখালী সীমান্তজুড়ে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে শৈলখালীর আব্দুল জুব্বার, ধিরাজ মন্ডল, এশার আলী আবুল কাশেম, মোনাজাত ও আবু তালেব, পশ্চিম কৈখালীর দিলীপ মন্ডল, আব্দুল লতিফ ও হাবিবুর এবং কাঠমারীর রেজাউল ইসলাম।
এছাড়া কৈখালী ইউনিয়নের হাবিবুর (২), মামুন কয়াল, আজিজুল, আরজ খান, মোস্তফা সরদার, মোহাম্মদ আলী গাজী, হাফিজুর গাজী ও মোবারক গাজীসহ আরও অনেকেই চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে মাদক ও চোরাচালান বন্ধ করা না গেলে দিতে হবে বড় খেসারত।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ৮০ ভাগ মাদক ও অবৈধ মালামাল চোরাচালান কৈখালী সীমান্ত দিয়ে হচ্ছে। কৈখালী ইউনিয়নের সাড়ে ১৪ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা হওয়া সত্তে¡ও সে তুলনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা খুবই কম। এ কারণে মাদক ও চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিজিবির সাতক্ষীরা ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন (সম্প্রতি বদলির আদেশপ্রাপ্ত) বলেন, সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি সদস্যরা দিন-রাত নিয়োজিত রয়েছেন। মাদকসহ যেকোনো চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)