নড়াইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে মেয়ে ধর্ষণ: মামলার আসামি আটক
নড়াইলের গন্ধ বাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়ে কে ধর্ষণ এর অভিযোগ উঠেছে। এরপর মামলা হলে ৪ ঘন্টার মধ্যে ২নং আসামি ইমরান কে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই সাফত ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করেন।
এজাহার সুত্র ও মেয়ের বাবা বলেন, এলাকার দুইজন লম্পট জিনিয়াস ও ইমরান দীর্ঘ দিন যাবত তার মেয়ের পিছনে লেগে থাকে। তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে বিভিন্ন সময় ফোন করতো। তার মেয়ে একটি ছেলের সাথে ফোনে কথা বলতো পরে তার সাথে এক পর্যায়ে প্রেমেজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমরা পারিবারিকভাবে সেটাকে মেনে না নিয়ে তার নামে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। মামলা চলোমান আছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৌফিক আহমেদ ওরফে জিনিয়াস শেখ (৩৬,) পিং, হান্নান ওরফে হিরু শেখ, (২) ইমরান মিনা (২৭) পিং মৃত ইনজাহের মিনা সর্ব সাং মাইট কুমড়া থানা লোহাগড়া জেলা নড়াইল এই দুইজনে মেয়েকে বলে তার সাবেক প্রেমিককে তার কাছে এনে দিবে। তাকে আনতে হলে তাবিজ পুড়াতে হবে ও তৈল পানি পড়া নিতে হবে বলে তাকে ফোনে জানায়। মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা যায় প্রথম ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ৮ জুলাই ২০, তারিখ, বুধবার দুপুর অনুমান ২ ঘটিকার সময় তাকে সে তার মুঠোফোনে বলে তোকে তোর প্রেমিক মিঠুনের সাথে বিয়ে দেবো তুই মদিনাপাড়া চলে আয়। তখন মেয়েটি তার কথা মত চলে আসে। জিনিয়াস তখন তাকে ফয়েজ মোড় মদিনাপাড়া তার বসতঘরের নিয়ে যায় ও দরজা বন্ধ করে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চিৎকার করতে চাইলে তখন সে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেয়। ধর্ষণ শেষে মেয়েটির চলে যায় তার বাড়ি ও ধর্ষণের ঘটনাটি তার ভিতরে চেপে রাখে। মেয়েটি আরো বলেন, এরপর উক্ত জিনিয়াস এর সাথে কোনো যোগাযোগ না রাখায় গত ১২, জুলাই ২০, তারিখ: রবিবার রাতে অনুমান ১০ টার সময় (২) নং আসামি মো: ইমরান মিনা তার মুঠোফোনে বলে যা জিনিয়াস এর সাথে হয়ে গেছে সব ভুলে যা। এখন তুই সুবির ঠাকুরের বাগানের কাছে আয় আর তৈল, পানি পড়া নিয়ে যা।
মেয়েটি তখন সুবির ঠাকুরের বাগানের সামনে যায় ও ইমরানের কাছে তাবিজ ও পড়া পানি চায়। তখন পাশের বাগান থেকে জিনিয়াস বেরিয়ে এসে ইমরান কে বলে ওকে বাগানে নিয়ে চল। তখন জিনিয়াস এর সহযোগিতায় ইমরান তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সুবির ঠাকুরের বাগানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
মেয়েটি আরো বলেন, রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ইমরান তার চাচা শহিদের বাড়িতে হাত ধরে নিয়ে যায় এবং শহিদ কে বলে তার বাড়িতে খবর দেয় মেয়েকে নিয়ে যেতে। তারপর শাহিদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মেয়েটির বাড়ির লোকজন এসে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি তখন আমার পরিবারের সবাইকে সব ঘটনা খুলে বলি। তারপর ১৫ জুলাই ২০ তারিখ বুধবার সন্ধ্যা ১৯.৫৫ ঘটিকার সময় লোহাগড়া থানায় হাজির হয়ে জিনিয়াস (৩৬)ও ইমরান (২৭) এর নামে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ১৪/১৬২।
সাংবাদিকদের সাথে মুঠোফোনে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান কথা হলে তিনি জানান, মামলা দায়ের হয়েছে। ২নং আসামি ইমরানকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামি জিনিয়াস পলাতক আছে, তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)