ইসির জন্য পছন্দের নাম দেবে না বিএনপিসহ যেসব দল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির চিঠি পেলেও কোনো নাম প্রস্তাব করবে না বিএনপি।
শুধু বিএনপি নয়, ২০ দলীয় জোটের শরিক নিবন্ধিত কোনো দলই নাম দেবে না।
এর বাইরে আরও কয়েকটি দলও সার্চ কমিটিতে কোনো নাম না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সার্চ কমিটিতে এ নাম জমা দেওয়া যাবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চিঠি এসেছে। তবে তার দল নাম প্রস্তাব করবে না, এটা স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত।
এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা কোনো নাম প্রস্তাব করবেন না।
২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিও কোনো নাম দেবে না।
দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জানান, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নিলেও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির কাছে কোনো নাম প্রস্তাব করবেন না তারা। দল ও জোটের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দুইদিন আগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জোটের আরেক শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি জানিয়েছে, তারাও সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করবে না।
জোটের অন্য শরিক বাংলাদেশ মুসলিম লীগও (বিএমএল) নাম দেবে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডিও নাম দেবে না।
দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন। রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাননি, চিঠির কোনো জবাব দেবেন না। কোনো নাম প্রস্তাব করবেন না। নাম দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করেন না তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটিতে নামের তালিকা দেবে না বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার জবাব দেয় দলটি। দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিটি ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। আগে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সার্চ কমিটিতে কোনো নামের তালিকা দেবে না বলে জানা গেছে।
নতুন ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সার্চ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
পরের দিন (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটি প্রথম বৈঠক করে। ওই বৈঠকে ইসি গঠনের জন্য দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাদের পছন্দের ১০ জনের নাম চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের পাঁচটি পদে সুপারিশ করার জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার আহ্বান জানায় সার্চ কমিটি।
উল্লেখ্য, সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে। ইসি গঠনে নতুন আইন অনুযায়ী, গঠিত সার্চ কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করতে হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)