মণিরামপুরে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার!
যশোরের মণিরামপুরে আলাল বিশ্বাস (৫২) নামের এক লম্পট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আলাল বিশ্বাস উপজেলার গোপীকান্তপুর গ্রামের মৃত পাচু বিশ্বাসের ছেলে।
সম্পর্কে ভিকটিম ধর্ষকের প্রতিবেশি দাদা হন।
নির্যাতনের শিকার শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষকের ভাইপো স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক অলিয়ার রহমান গোপনে কেশবপুরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে ভিকটিমকে চিকিৎসা করান। ভাইপো অলিয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, রোববার (২৪ এপ্রিল-২০২২) উপজেলার গোপিকান্তপুর ঘটনাটি ঘটে।
চিকিৎসা নিয়ে গ্রামে ফেরার পর ধামাচাপা দিতে একাধিক বৈঠক হওয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
স্থানীয় সূত্র জানায়- বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কয়েকদফা বৈঠকে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর পরিবারকে থানা পুলিশ না করতে টাকার লোভসহ ভয়ভীতি দেয়া হচ্ছে।
সরেজমিন ভিকটিমের বাড়িতে গেলে প্রতিবেশি একাধিক নারী-পুরুষ ভীড় জমান। এসময় অনেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- অভিযুক্ত আলাল ও ভিকটিমের পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় ভিকটিম পরিবারকে চাপ দেয়া হচ্ছে।
এসময় ভিকটিম জানায়- দাদা তাকে ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী বাগানে নিয়ে যায়। এসময় তার সাথে খারাপ আচারণ করে। এতে অসুস্থ্য হলে ডাক্তার চাচা (অলিয়ার) তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
ভিকটিমের মা’সহ অনেকেই বলেন- এ ঘটনার সঠিক বিচার চান।
অভিযুক্তের ভাইপো অলিয়ার বলেন- তিনি ভিকটিমকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে, পাশাপাশি বসবাস হওয়ায় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মণিরামপুর থানার ওসি নূর ই আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান- এ ঘটনায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)