মরুভূমিতে তিন কোটি গাছ লাগিয়ে অসাধ্য সাধন বৃদ্ধের
গোটা বিশ্বেই যখন রোজ কমছে অরণ্যের পরিমাণ তখন একজন মানুষের এমন প্রচেষ্টা আদায় করে নিচ্ছে কুর্নিশ।
ছিলেন বন দফতরের কর্মকর্তা, নিজের চোখে দেখেছেন কী ভাবে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে অরণ্য। শেষমেশ পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন তুরস্কের বন দফতরের প্রাক্তন অধিকর্তা হিকমেত কায়া। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বন্ধ্যা ভূমিকে বদলে দিলেন অরণ্যে।
১৯৭৮ সালে তুরস্কের বন দফতরের কর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হিকমেত। দীর্ঘ দিন উত্তর তুরস্কে বন দফতরের শীর্ষ কর্তার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই সময়ে চোখের সামনে দেখতে পান কী ভাবে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে অরণ্য। প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
৪১ বছর আগে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে নিজেই চারাগাছ লাগানো শুরু করেন হিকমেত। কর্মজীবন তো বটেই অবসর নেওয়ার পরেও উনিশ বছর ধরে লাগাতার বৃক্ষরোপণ করে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রায় তিন কোটি গাছ লাগিয়েছেন তিনি। ব্যর্থ হয়নি তাঁর অধ্যবসায়। ৪১ বছরের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মরুভূমির মতো জমি বদলে গিয়েছে ঘন সবুজ অরণ্যে। স্বপ্ন সফল করতে পেরে নিজেও খুশি হিকমেত। গোটা বিশ্বেই যখন রোজ কমছে অরণ্যের পরিমাণ, তখন এক জন মানুষের এমন কাজ আদায় করে নিচ্ছে কুর্নিশ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)