সাতক্ষীরা পৌর মেয়র চিশতির দায়িত্ব পালনে বাধা নেই
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকীন আহমেদ চিশতিকে তার পদ থেকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার দায়িত্ব পালনে বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে পৌর মেয়রের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এরআগে, গত ১৫ জুন সাতক্ষীরার পৌরসভার মেয়র মো. তাজকীন আহমেদ চিশতিকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকীন আহমেদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করে মার্চ ২০১৬ হতে জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০১ টাকা পানির বিল মওকুফসহ বিল যথাযথভাবে আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র কর্তৃক এককভাবে মওকুফ করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও ১৪২৩-১৪২৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ৬ বছরে সাতক্ষীরা পৌরসভার হাট-বাজার ইজারা বাবদ ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ টাকা বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাট, আয়কর বাবদ ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ টাকা আদায় করে তা সরকারি খাতে জমা করা হয়নি এবং ওই সময়ের ইজারা লব্ধ অর্থ হাট-বাজার ইজারা নীতিমালা-২০১১ অনুযায়ী বণ্টন না করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাতক্ষীরার পৌরসভার মেয়র মো. তাজকীন আহমেদ চিশতিকে সাতক্ষীরার পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
পরে ওই বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তাজকীন আহমেদ চিশতি। সে রিটের শুনানি নিয়ে তার বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে বরখাস্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ২২ জুন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো: আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)