সাতক্ষীরায় ট্রাফিক পুলিশই মানছেনা ট্রাফিক আইন
দেশের যানজট এবং সড়কের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকার ট্রাফিক আইন প্রণয়ন করলেও সেই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা খোদ ট্রাফিক পুলিশের অনেক সদস্যই মানছেনা ট্রাফিক আইন। কেবলমাত্র ট্রাফিক পুলিশই নয় পুলিশের অন্যান্য বিভাগের সদস্যরাও ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে চলছেন দেদারছে অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিন্দুমাত্র নজির দেখা যায় না।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে-মোড়ে পুলিশের অভিযান চললেও সেসব অভিযানে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পরও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয় না। আর পুলিশ কর্মরতদেরকে তো দাঁড় করানোই হয়না। অথচ এ জেলার সাধারণ মানুষদের অভিযোগ বাড়ি থেকে পুলিশের অভিযানের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বের হযওয়াই এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সামান্য পান থেকে চুন খসলেই যেন আর রেহাই নেই। গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জরিমানা, সাথে পুলিশের দুর্ব্যবহার তো আছেই।
শনিবার (২১ আগস্ট) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মোটরসাইকেল চালক জানান, সাতক্ষীরার ট্রাফিক পুলিশেরা যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মোড়ে মোড়ে তাদের অভিযান চলছে। অনেক সময় সকল প্রকার ডকুমেন্টস সাথে থাকার পরও বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে পুলিশ। অথচ এমন অনেককেই দেখা যায় যাদের কাছে কোন প্রকার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা হেলমেট নেই কিন্তু বিশেষ সুবিধা নিয়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে।
তারা আরও জানান, ট্রাফিক পুলিশের জনহয়রানি এবং ঘুষবাণিজ্য তো এখন ওপেন সিক্রেট। সবাই এ অনিয়মগুলো দেখেন অথচ এর বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই। অন্যদিকে সাধারণ জনগণ কোন ভুল করলেই তাদের আর রেহাই নেই।
এদিকে শনিবার (২১ আগস্ট) সাতক্ষীরা প্রতিদিনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার দৃশ্য। এদিন বেলা চারটার দিকে শহরের গার্লস স্কুল মোড় সংলগ্ন ব্রিজ পার হয়ে যাচ্ছিলেন এক ট্রাফিক পুলিশ। যার মোটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর সাতক্ষীরা-হ ১৪ ২৪ ৩১। তিনি গার্লস স্কুল ব্রীজ মোড় থেকে বামে মোড় নিলেও সিগন্যাল লাইট না জ্বালিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছেন। আবার সড়কে মোটর সাইকেল চলাকালীন অবস্থায়ও তার মাথায় হেলমেট নেই।
শুধু এই এক ট্রাফিক পুলিশই নয় পুলিশের অন্যান্য বিভাগের সদস্যরাও হরহামেশাই এভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে চলেছেন কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এবিষয়ে সাতক্ষীরার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শ্যামল কুমার চৌধুরীর বক্তব্য জানার জন্য তার কাছে সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ০৭:১০ মিনিট থেকে ০৭:১৩ মিনিটের মধ্যে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে উল্টো কেটে দেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)