অধ্যাপক ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিচারের দাবিতে নুসরাত আরা ময়নার সংবাদ সম্মেলন
নিজের শ্লীলতাহানি এবং স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে খুলনা শেখ আবু নাসের হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিচারের দাবি করেছেন নুসরাত আরা ময়না। তিনি ডা. নিশাতের ওপর হামলায় অভিযুক্ত এএসআই নাইমের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২রা মার্চ) দুপুর দেড়টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নুসরাত আরা ময়না। এসময় তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে তাদের অসহায় পরিবারের পাশে থাকার অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত আরা ময়না বলেন, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে যে এজাহার দায়ের করেন তাতে রাত ১০টায় হামলার কথা উল্লেখ করেন। আবার বিএমএ নেতা ডা. বাহার সংবাদ সম্মেলনে বলেন রাত ১টায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। আসলে সেখানে কোনো হামলা ও ভাঙচুর হয়নি। আমার কাছে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটের ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে নিশাত আব্দুল্লাহ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ওটিতে ভাঙচুরের কোনো আলামত নেই।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি করা হচ্ছে সেই সাথে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আমার মেয়েকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে আমার মেয়ের হাতের অবস্থার চরম অবনতি হচ্ছে। এর দায়ভার কে নেবে? শুধু আমার মেয়ে নয়, গুটি কয়েক চিকিৎসক কর্মবিরতি দিয়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা না দিয়ে তাদের জীবন নিয়ে যে ছেলেখেলা করছেন তার দায়ভার কে নেবে? এমনি প্রশ্ন তার?
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নুসরাত আরা ময়না বলেন, আমার মেয়ে যেন দ্রুত সুচিকিৎসা পায়, সে ব্যবস্থা করা হোক। বিএমএর কর্মকর্তারা শুধু এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং রাষ্ট্রীয় আচার-আচরণের পরিপন্থি।
তিনি বলেন, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ আমার শ্লীলতাহানি করেছেন এবং আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমি তার শাস্তির দাবি করছি।
নুসরাত আরা ময়না আরও বলেন, গত ২০ জানুয়ারি ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ যখন জানতে পারলেন মেয়ের চিকিৎসার আপডেট জানতে যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্যবহার করছিলাম সেটি আমার, তখন থেকে তিনি আমাকে আপত্তিকর মেসেজ ও কল দেওয়া শুরু করেন।
তিনি বলেন, ওই রাতে (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভাঙচুর অথবা চিকিৎসককে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)