আশাশুনিতে জমি ফিরে পেতে কাফনের কাপড় পরে অনশন
আশাশুনিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জবর দখলকৃত জমিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে প্রকৃত জমির মালিকদের দখল দেওয়ার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন পালন করছে ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (২৫ জুলাই) ভোর ৬ টা থেকে আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাজেদ আলী গাইনের নেতৃত্বে জমির মালিক মাজেদ আলি গাইন, আয়ুব আলি গাইন, মনিরুল গাইন, মিজানুর গাইন, নুরুজ্জামান, জহুরুল, আনারুল, রাবেয়া খাতুন, জবেদা খাতুন, জেসমিন খাতুন, আজিজা খাতুন, আনোয়ারা খাতুন, নাছিমা খাতুন, সোহাগ আলম, সোহান আলম ৩টি দুগ্ধপোষ্য শিশুকে সাথে নিয়ে অনশন করছেন।
সকাল থেকে টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে পলিথিন মাথায় দিয়ে রাজাপুর গ্রামে জবর দখল করে নির্মাধীন মার্কেটের সামনের মোড়ে এ অনশন করা হয়।
অনশনকারীরা বলেন, রাজাপুর মৌজায় এসএ ১১ ও আর এস ২৬৬ খতিয়ানে ২৮৪, ২৮৮, ২৯১, ২৯৪ ও ২৯৬ দাগে ৪৬ শতক জমির পৈত্রিক মালিক উজির আলী গাইন, শামছুর গাইনসহ ৬ জন। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ৫টি দাগের ৩ শতক জমি ক্রয় করেন শামছুরের নিকট থেকে। এবং ২৯৪ ও ২৯৬ দাগ চিহ্নিত করে নেয়। অপর শরীক আয়ুব আলী টাকা আমানত করলে বিজ্ঞ আদালত স্থগিতাদেশ করেন।
মেম্বারের ভাই ছাইদ একই মৌজা ও দাগে একই দাতার নিকট থেকে একই দাগ চিহ্নিত করে ২ শতক জমি ক্রয় করেন। এবারও আয়ুব আলী টাকা আমানত করলে তার পক্ষে রায় হয়। অন্যদিকে আপোষ নামা দেখিয়ে জমির মিউটেশান সম্পন্ন করা হয়। জমির মালিকরা জানান ভূয়া আপোষনামা দেখিয়ে করা মিউটিশানের খবর জানতে পেরে তারা (আয়ুব আলী গাইন গং) সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেছেন। কিন্তু মেম্বার শহিদুল আদালতের স্থগিতাদেশ ও মামলা চলাকালীন সময়ে ৫টি দাগে ক্রয়কৃত জমি ৫ দাগে দখল না নিয়ে কেবলমাত্র ২৯৪ দাগে অবৈধ ভাবে জবর দখল নিয়ে ঘর নির্মাণ করে চলেছেন।
জমির মালিকদের হুমকি ধামকি দিয়ে জবর দখল ও নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় তারা কাফনের কাপড় পরিধান করে অনশন করতে বাধ্য হয়েছেন। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
মেম্বর শহীদুল ইসলাম জানান, আমার ন্যায্য মূল্যে কেনা জমিতে ঘর তৈরি করছি। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অনশনের নাটক করছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান – অনশনের ঘটনাটি এইমাত্র শুনলাম। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)