কলারোয়া-গয়ড়া ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারে কেউ কী নেই?


কলারোয়া থেকে গয়ড়া কলেজ মোড় অভিমুখে যাওয়া মহেন্দ্রের যাত্রী স্কুল শিক্ষক জাহিদ আলম বললেন, ‘কলারোয়া-গয়ড়া ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারে কেউ কী নেই?’
ইজিবাইকের এক যাত্রী বললেন, ‘রাস্তার ভাঙাচুড়া স্থান ঠিক করে না দেয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগীরা নানান নেতিবাচক কথা বলে থাকেন।’
কলারোয়া উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ন, ব্যস্ততম ও সর্বাধিক যানবাহন চলাচল করা রাস্তা হলো কলারোয়া থেকে চন্দনপুরের গয়ড়া সড়কটি। অথচ এই রাস্তাটি রয়েছে সবচেয়ে অবহেলিত।
ভুক্তভোগীরা জানান, ‘কলারোয়া থেকে গয়ড়া তথা চন্দনপুর কলেজ মোড় অভিমুখি রাস্তার ঝাঁপাঘাটা এলাকায় অন্তত ৪টি স্থানে ভেঙেচুড়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে ছাগলের মোড় থেকে ঝাঁপাঘাট প্রাইমারি স্কুলের মধ্যবর্তী রাস্তার ২টি স্থানে এতটাই খারাপ অবস্থা যে, প্রতিদিন কোন না কোন যানবাহন সেখানে দেবে যাচ্ছে, ফেঁসে যাচ্ছে, উল্টে যাচ্ছে কিংবা কাত হয়ে যাচ্ছে। ওই দুই স্থানে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে কোনমতে মহেন্দ্র, ইজিবাইককে পার হতে দেখা যায়। প্রাইভেটকার যেতে না পেরে ফিরে আসতে হয়েছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল আরোহীরাও পড়েছেন বিপাকে। স্থানটি সংস্কার ও পথচারীদের সমস্যা লাঘবে সংশ্লিষ্টদের কোন ভূমিকা এখনো দেখা যায় নি।’
স্থানীয়রা বলেন, ‘ওই স্থানে রাস্তার গর্তে রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইটবাহী ট্রলি উল্টে যায়। এর একদিন আগে শনিবার ট্রাক ফেঁসে আটকে যায়। এরূপ প্রতিদিন একাধিকবার সেখানে নানান সমস্যা হচ্ছে। ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ এখনো দেখা যায় নি।’
ঝাঁপাঘাটের ওই স্থানটি হেলাতলা ইউনিয়নের অধীনে। ছাড়াও ওই সড়কের সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বুঝতলা বাজার পেরিয়ে শ্রীরামপুর এলাকার কয়েকটি স্থানেও অনুরূপ খারাপ অবস্থা।
ভুক্তভোগীরা আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, ‘এই রাস্তা দেখলে মনে হয় যে, এলাকাগুলো যেনো অভিভাবকহীন। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা, উদাসীনতা আর কাণ্ডজ্ঞানহীন নিশ্চুপ অবস্থান সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলছে।’
রাস্তার ভাঙা ও গর্ত স্থানগুলো অবিলম্বে সংস্কার করে পথচারীদের অসুবিধা লাঘব ও যাতায়াত ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক রাখতে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
