চলে গেলেন উন্নয়নকর্মী ও গবেষক জামিল এইচ চৌধুরী
বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন উন্নয়নকর্মী ও গবেষক জামিল এইচ চৌধুরী। গত সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭০ বছর বয়সী এই শিশু সংগঠক, উন্নয়নকর্মী, গবেষক ও অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) নির্বাহী পরিচালক।
মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে যান।
জামিল এইচ চৌধুরী ১৯৫১ সালে ৭ জুলাই সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর তিনি এমপিএইচ সম্পন্ন করেছেন।
বেসরকারি সংস্থায় দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, কর্মসূচি, ব্যবস্থাপনা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এএসডিতে যোগদানের পূর্বে রিসার্চ, ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল, জেএসআই রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস, গ্রামীন ট্রাস্ট, অ্যাসোসিয়েটস ফর কমিউনিটি এন্ড পপুলেশন রিসার্চসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেছেন।
২০১২ সালে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় এএসডিকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রিভেনশন অব সেপ্টিক অ্যাবরশন, বাংলাদেশ (বাপ্সা) এর নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়ন নিয়েও কাজ করেছেন।
প্রায় ৪০টির উপর গবেষণাপত্র রয়েছে জামিল এইচ চৌধুরীর।
অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ পপুলেশন এসোসিয়েশনের (বিপিএ) আজীবন সদস্য, পাবলিক হেলথ এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএএসএফ) নির্বাহী কমিটির সদস্য, কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর এর (সিইউপি) নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন উন্নয়নকর্মী ও গবেষক জামিল এইচ চৌধুরী।
গত মঙ্গলবার তাকে রাজধানীর একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)