টার্গেট পুরুষ, শ্লীলতাহানির ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করত ফারজানা
সামাজিক মাধ্যমে টিকটক সেলিব্রেটির আড়ালে ফারজানার অপরাধের সামাজ্য। চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত আধিপত্য তার। পুলিশের অভিযানে একাধিক মামলার আসামি দুর্ধর্ষ এই নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সামাজিক মাধ্যমে তিনি পরিচিত টিকটক ও লাইকি হিরোইন হিসেবে। নিজের আইডিতে প্রতিনিয়ত আপলোড করে নতুন নতুন ভিডিও। রয়েছে একটি কিশোর গ্রুপও। এই টিকটক হিরোইন ফারজানা আসলে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। যে কিনা নগরীর ইপিজেড থেকে আন্দরকিল্লা এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের নেতৃত্ব দেয়। এছাড়াও পুরো এলাকায় আছে তার আরও বেশকয়েকটি ছিনতাই গ্রুপ।
গত ২০ জুলাই রাতে আন্দরকিল্লায় ছিনতাইয়ের এক ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী ফারজানা ও তার গ্রুপকে চিহ্নিত করে পুলিশ।
এরআগেও এ গ্রুপের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এই ছিনতাই গ্রুপটি নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলকারী পুরুষদের প্রথমে টার্গেট করে। ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে তাদের থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া মার্কেটেও আগে থেকে ওঁৎ পেতে থেকে নারীদের স্বর্ণাংলকার ছিনিয়ে নিয়েও পালায় তারা।
সূত্র জানিয়েছে, আটক ফরজানার স্বামী রুবেল মাত্র ২ দিন আগে এলজি ও ছোরাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী একটি ছিনতাই চক্র গড়ে তুলেছে।
ওসি বলেন, ফারজানা বিভিন্ন সড়কে ঘুরে বেড়ায়। তার সুবিধামতো কোনো পুরুষ দেখলে ফারজানা ঠিকানা জানার অজুহাতে ওই লোককে দাঁড় করায়। এসময় ছুরির ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
টাকা, মোবাইল দিতে রাজি না হলে ফারজানা তাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে চিৎকার করার হুমকি দেয়।
এসময় সম্মানের ভয়ে অনেকে টাকা-মোবাইল ফোন দিয়ে দেয়। একইভাবে সে পথচারী কোনো নারীকে কোন কিছু জানতে চাওয়ার অজুহাতে দাঁড় করিয়ে টাকা-পয়সা-মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও জানান ওসি।
গত ১৯ জুলাই কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা মোড়ে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রুবেলের সঙ্গে তার স্ত্রী ফারজানাও জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)