বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

তালায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি, বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে

সেলিম হায়দার: যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আলাদিপুর এলাকার উজান পানির প্রবাহে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিরাশুনি গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট, বেড়েছে পানিবাহিত রোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেশবপুর এলাকার উজান পানি প্রবাহিত হয়ে তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি গ্রামে প্রবেশ করছে। গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি জলমগ্ন। রাস্তাঘাট, কৃষি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবই পানির নিচে। এতে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শিরাশুনি গ্রামের গুলশানা আরা খাতুন বলেন, অতিবৃষ্টির সঙ্গে উজান পানি মিলিয়ে হঠাৎ করেই আমাদের গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। রান্নাবান্না, কৃষিকাজ, শিশুদের পড়াশোনা—সব কিছুতেই ভোগান্তি। একই গ্রামের মজিবার রহমান শেখ বলেন, গত তিন বছর ধরে এই পানি আমাদের স্বাভাবিক জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। সাংবাদিক, এনজিওরা আসেন, কথা বলেন, কিন্তু সমাধান কিছুই হয় না। কৃষিকাজ বন্ধ, কাজ নেই, ঘর থেকেও বের হতে পারি না। স্থানীয় নারী ময়না বেগম বলেন, আমাদের বাড়িতে কোমর সমান পানি। কেউ মারা গেলে কবরস্থানে নেওয়াও সম্ভব হবে না। বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই চুলকানি ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান জানান, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনের পরিকল্পনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। কেশবপুরের নরনিয়া খাল দিয়ে পানি না ছাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতোমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানির গতি বাড়াতে বিভিন্ন খালের মুখে থাকা নেটপাটা ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে। তবে কেশবপুরের উজান পানি না সরালে আশপাশের আরও ১০টি গ্রাম স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পড়বে।
তিনি আরও বলেন, নোয়াপাড়া খাল দিয়ে কিছুটা পানি সরানো গেলেও নরনিয়া খাল ও ভদ্রা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। কেশবপুর ও মনিরামপুরের পানি ভদ্রায় না পড়ে আমাদের এলাকায় পড়ে জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে। ভদ্রা নদী খনন করলেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রাণী সরকার বলেন, উপজেলার অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। ইতোমধ্যে কয়েকটি খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে। আমি নিজেও একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করেছি। আজ বিকেলেও শিরাশুনি এলাকায় গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছি। দ্রুত পানি অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সকলকে সঙ্গে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

তালা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য-দুর্ণীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফজল মোঃ নুরুল্লাহ’রবিস্তারিত পড়ুন

তালায় জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেবিস্তারিত পড়ুন

তালায় প্রয়াত যুবদল নেতা ফারুক হোসেনের ১ম মৃ*ত্যুবার্ষিকী পালন

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে খলিলনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেকবিস্তারিত পড়ুন

  • তালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • তালায় ৪ দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুতে কর্মরতদের অনির্দিষ্টকালের গণছুটি
  • তালায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন
  • সাতক্ষীরার তালায় ইটভাটায় টাস্কফোর্স অভিযান
  • বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় র‌্যালি ও পথসভা
  • তালায় ছাগল ও ক্ষুদ্র ব্যবসার উপকরণ বিতরণ করলো উত্তরণ
  • তালায় নাতনীকে ধ*র্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী নানা গ্রে*ফতার!
  • তালায় সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
  • তালায় ইস্যুভিত্তিক অ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত কর্মশালা
  • তালায় বন বিভাগের এফজি ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে ২ হাজার গাছ বিক্রির অভিযোগ
  • তালায় তরুণ কান্তি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
  • পূর্ব শত্রুতার জেরে তালায় দেড় কিলোমিটার শিম গাছ কেটে দিলো প্রতিপক্ষ!