তালার সরুলিয়া ইউনিয়নের ব্যালট পুনঃগণনা কার্যক্রমে বাঁধাদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার তালার সরুলিয়া ইউনিয়নের ব্যালট পুনঃগণনা কার্যক্রমে বাঁধাদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বিশ্বাসের পুত্র আব্দুর রব পলাশ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি তালা উপজেলার ৩ নং সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলঅম। গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে আমি আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছি। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোট গণনায় আমি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুপ আচরণের স্বীকার হয়েছি। কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া, কোন কোন কেন্দ্রে ফলাফল সীটে অগ্রীম স্বাক্ষর করে নেওয়া, আবার কোন কেন্দ্রে একেবারেই ফলাফল সীটে স্বাক্ষর না নেওয়া ও গণনায় কারচুপি করা হয়। এসব ঘটনায় আমি সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করি। মামলা নং ২/২১ ইং। মামলা শুনানী শেষে বিচারক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ফরাজী গত ৫ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে তালা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ব্যালট পেপার আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনা মতে, অদ্য ২০ জানুয়ারি তালা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ব্যালট সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নিয়ে আসার সময় সকাল ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্বাচন অফিসের মধ্যে থাকা ব্যালট রাখা বস্তাগুলো টানাহেচড়া করেন। ভোট পুনঃগণনার আদালতের নির্দেশনা পালন বাঁধাগ্রস্থ ও বিতর্কিত করার পায়তারা চালান। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জরুরী ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারপর ব্যালটের বস্তাসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি একটি মাইক্রোবাযোগে নিয়ে সাতক্ষীরা আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা।
ব্যালটের পাঁচটি বস্তা আদালতে নিয়ে আসার পর আদালত বস্তার মুখ খোলা দেখে দুপুর ৩টার দিকে সেগুলো তালা নির্বাচন অফিসে ফেরৎ দেন আদালতের বিচারক। ভোট পুনঃগননার কাজটি বাঁধাগ্রস্থ করতে নির্বাচিত কমিশন ঘোষিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আদালতে একের পর এক সময়ক্ষেপন করছেন। ভোট পুনরায় গণনায় এই প্রার্থীর সমস্যা কোথায় সেটা জানতে চায় সরুলিয়া ইউনিয়নবাসী। প্রকৃত অর্থে, সে ভোটে জয়লাভ করেনি। কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ভোট পূনগণনায় যাতে কোনভাবে বাঁধাগ্রস্থ করতে না পারে সেজন্য তিনি প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)