পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মেধাবী ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক মেধাবী ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে লাথি মেরে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের বাড়ির সামনের ইটসোলিং রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মাইলস্টোন কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী জখমী শামীম দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মোস্তাফা মুন্সীর পুত্র।
স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শেবাচিম এ রেফার্ড করেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের করিম মুন্সী, ডালিম, হালিম, ইউনুস ও মালেক মুন্সী কলেজ ছাত্র শামীম ওরফে বাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওৎ পেতে থাকা ২০/২৫ জন দুর্বৃত্ত বাড়ির সামনের ইট সোলিং রাস্তায় ওই ছাত্রের গতিরোধ করে ঘটনার তারিখ ও সময় মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ৪ খানা রামদা, ৫টি লোহার পাইপ, ১টি বাংলা দাও, ১০/১২টি সাইজ করা লাঠি বের করে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাটিতে ফেলে রাখে এবং লাথি মেরে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে উল্লাস করে।
এ সময় স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও উপুর্যুপরি হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তায়ন ঘটায় ওই ভূমিদস্যুরা। স্বজনদের মধ্যে আহত শাহিনের জ্ঞান ফিরলেও জ্ঞান ফেরেনি সাবিনা বেগমের। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম থেকে ঢাকায় নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।
এদিকে ছেলে শামিককে রক্ষা করতে যেয়ে দুর্বৃত্তদের মারধরের শিকার হওয়া রোকেয়া বেগম জানান, ভূমিদস্যু করিম মুন্সী আমার চুল ধরে টেনে রাস্তার বাহিরে ফেলে দেয় এবং আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের ১টি স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ডালিম ও ইউনুসের সাথে ডাকাত ও জলদস্যুদের সাথে যোগসাজশ রয়েছে। বিগত ১০ বছরে আমাদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছে। এ বছর চাঁদা দিতে অপারাগতা প্রকাশ করায় ১০ বছরের ক্রয় সূত্রে দখলীয় জমিতে চাষ ও রোপন করতে দিচ্ছে না। এবারে চাঁদা না দেওয়ায় আমার ছেলেকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল ওই দুর্বৃত্তরা।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আঃ হক জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।দ্রুত আসমীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
