পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীর প্রতারনায় নিঃস্ব স্বামী!
পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রীর প্রতারনার শিকার হয়েছেন জামাল নামের এক প্রবাস ফেরত যুবক।
জামাল বেতমোর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পূর্ব রাজপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ লাল মিয়া হাওলাদারের পুত্র।
স্ত্রীর প্রতারনায় পারিবারিক ও সাংসারিক জীবনে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান ভুক্তভোগী জামাল হোসেন।
জামাল হোসেন জানান, ২০১৭ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ও রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামা মূলে স্ত্রী রানী বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। রানী বেগম মঠবাড়িয়া উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের সালাম হাওলাদার এর মেয়ে।
এর আগেও রানী বেগম ৪টি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়। ১ম স্বামী আ. মজিদ স্ত্রীর অভিযোগে ডিফেন্সের চাকরিটি হারায়। ২য় স্বামী সামসু’র টাকা পয়সা গহনা গাটি নিয়ে বাবার বাড়ি গিয়ে ডিভোর্স পাঠায়। ৩য় স্বামী খুলনায় এক গ্রাম্য ডাক্তার এবং ৪র্থ স্বামী ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী ছিল। তাদেরকেও ফাঁদে ফেলে একসময় ডিভোর্স দেয় রানী বেগম। এখন ৫ম স্বামী ভুক্তভোগী জামাল হোসেন। জামাল হোসেনের পর কে হবেন ৬ষ্ঠ স্বামী সে গুঞ্জনও রয়েছে এলাকায়।
রানী বেগমের ৫ম স্বামী জামাল হোসেনের সহায় সম্পত্তি বলতে যা বুঝায় তা সবকিছুই ছিল। রানী বেগমের বিশ্বাসভঙ্গ ও অভিনব ফাঁদে সহায় সম্বল হারিয়ে জামাল হোসেন এখন পথের ফকির।
তিনি আরো বলেন, বিবাহের ৬ মাস যেতে না যেতেই সুচতুর স্ত্রী বাবার বাড়ির লোকজনের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে জামাল হোসেনের নিকট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। বোন জামাইকে বিদেশ পাঠানোর নামেও ৫০ হাজার টাকা নেয় রানী বেগম। সর্বশেষ এ টাকা জোগাড় করতে জমি বন্ধক রাখতে হয় জামালকে।
স্বামীর সংসারে সর্বশেষ পেরেক ঠুকাতে এখন শুধু কাবিনের টাকা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামালের স্ত্রী রানী বেগম। এজন্য বিজ্ঞ আদালতে হয়রানিমূলক একটি যৌতুক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রানী বেগম জানান, জামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ভরণপোষনহীন অবস্থায় আমাকে বাবার বাড়িতে ফেলে রেখেছে। প্রতিনিয়ত ব্যবসা করার কথা বলে আমার কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দিয়ে বাবার বাড়ি যেতে বাধ্য করে। আমি বর্তমানে বাবার বাড়িতে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)