বুধবার, মে ১, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শহীদ মিনার নেই কলারোয়ার বেশিরভাগ স্কুল-কলেজে, একটিও নেই মাদ্রাসা ও দুই ইউনিয়নে

১৯৫২ থেকে ২০২৩। কেটে গেছে প্রায় ৭১টি বছর। আর দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫২ বছর। তবু এতো দিনেও স্বাধীনতার বীজ মহান ভাষা আন্দোলনের স্মরণে শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি সাতক্ষীরার কলারোয়ার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার থাকলেও উপজেলার কোনো মাদ্রাসায় নেই একটিও শহীদ মিনার। যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও প্রায় বছরজুড়ে অবহেলিত ও অপরিচ্ছন্ন থাকতে দেখা যায়। এছাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নের কোথাও আজও স্থাপন করা হয়নি একটি শহীদ মিনার।

অনেকে বলছেন, ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই বাংলা ভাষা নিয়ে মাতামাতি হলেও বছরজুড়ে সেই বাংলা ভাষা থাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য অনেকক্ষেত্রে অবহেলিত। আর বিগত বছরগুলোতে ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শহীদ মিনার শুধুমাত্র পুষ্পমাল্য অর্পণের স্থান হিসেবেও বিবেচিত হয়। যেসকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই সেখানে কিছু সময়ের জন্য বেঞ্চ, কলাগাছ, বাঁশ-কাপড়, মাটি ইত্যাদি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতে দেখা যায়। শহীদ মিনারবিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহান একুশে ফেব্রুয়ারীতে ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে পারে না বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভা এবং উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে শহীদ মিনার রয়েছে ৩৫টি।

উপজেলার কয়লা ও জালালাবাদ ইউনিয়নে কোনো শহীদ মিনার নেই বলে জানা গেছে। গতবছর কয়লা হাইস্কুলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা হলেও তার নির্মাণ কাজ এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে, উপজেলায় ৩৪টি এমপিওভূক্ত মাদ্রাসা রয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে সিনিয়র মাদ্রাসার সংখ্যা ৫টি। এসব মাদ্রাসার কোথাও গড়ে ওঠেনি একটিও শহীদ মিনার। যদিও কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসায় একটি শহিদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে। তবে সেটার কাজও আজো শুরু হয়নি।

অপরদিকে, উপজেলার ১২টি বেসরকারি কলেজের মধ্যে ৫টিতে শহীদ মিনার আছে, বাজি ৭টি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়নি কোন শহীদ মিনার। কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ ও সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার রয়েছে।

উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে, নেই অবশিষ্ট ৩০টিতে।

উপজেলার ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে শুধুমাত্র ৫টিতে। কলারোয়া, গোপীনাথপুর, রঘুনাথপুর, ঝাঁপাঘাট ও বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বাদে বাকী ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার।

কলারোয়া পৌরসভার মধ্যে কলারোয়া ফুটবল মাঠের কর্নারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুলসীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল মিলিয়ে মোট ৮টি শহীদ মিনার রয়েছে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত শহীদ মিনারগুলো হলো- হেলাতলা ইউনিয়নের দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলাতলা আইডিয়াল হাইস্কুল, কাজীরহাট হাইস্কুল, ঝাঁপাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরসকাটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়নগর বদরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয় ও ধানদিয়া হাইস্কুল, দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো হাইস্কুল, দেয়াড়া হাইস্কুল, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়া হাইস্কুল, কেরালকাতা ইউনিয়নের সিংগা হাইস্কুল, কেকেইপি হাইস্কুল, চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজার, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিজলদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ও বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের কেএল হাইস্কুল, যুগিখালি ইউনিয়নের বামনখালি হাইস্কুল প্রাঙ্গণ ইত্যাদি। বাকি শিক্ষা স্কুল-কলেজে নেই কোন শহীদ মিনার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমআর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমানের অর্থায়নে কয়েক বছর আগে কলারোয়া ফুটবল মাঠের কর্নারে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভ ‘স্বাধীনতা’ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সোনাবাড়িয়া হাইস্কুল, হেলাতলা হাইস্কুল, কেকেইপি হাইস্কুল, চন্দনপুর কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

ভাষাপ্রেমিরা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই আমরা অনেকেই বাংলা ভাষাকে নিয়ে মাতামাতি করি। বাংলা যেনো শুধু ফেব্রæয়ারী মাস কেন্দ্রিক না হয়। বাংলা ভাষার প্রতি চাই বছরজুড়ে ভালোবাসা। শুধু শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও মুখেমুখে ভালোবাসা নয় বরং সর্বক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাকে গুরুত্ব সহকারে নিশ্চিত করা গেলেই বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রতিষ্ঠা লাভ সম্ভব।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় ঔষধ ব্যববসায়ীদেরকে নিয়ে জনসচেতনামূলক সভা

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার সকল ঔষধ ব্যবসায়ীদেরকে নিয়ে নকল, ভেজাল, রেজিস্ট্রিশনবিহীন ওবিস্তারিত পড়ুন

৮ মাস বন্ধ কলারোয়ার বেত্রবতী সেতু নির্মাণকাজ, ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার

শেখ জিল্লু: সাতক্ষীরার কলারোয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম বেত্রবতী সেতু নির্মাণকাজ কিছুটা শুরু হয়েবিস্তারিত পড়ুন

২১ বছরর মধ্যে সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

সাতক্ষীরায় মঙ্গলবার সর্ব উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়নসহ একাধিক কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউটে রঙ্গিন টিভি উপহার দিলেন সাইফুল্যাহ আজাদ
  • কলারোয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান লাল্টুর বিশাল শো-ডাউন
  • সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দেবোত্তর মন্দিরের সম্পত্তি অবৈধ দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
  • কলারোয়ার গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি, বাতাসে দুলছে চাষীর স্বপ্ন
  • কলারোয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষক- কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ ও দায়িত্ব অর্পণ
  • কলারোয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মুস্তাফিজুর রহমানের বিদায়ী সংবর্ধনা
  • কলারোয়ায় অনলাইন প্লাটফরম ব্যবহারের মাধ্যমে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা
  • কলারোয়ায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উইকেয়ার প্রকল্পের মতবিনিময় সভা
  • কলারোয়ায় দোকান ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
  • কলারোয়ায় আলতাফ হোসেন লাল্টুর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার মিছিল ও সমাবেশ
  • কলারোয়ায় ভেজাল আইসক্রীমে সয়লাব, শিশুরা মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে