‘শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে’


পাগলা ঘোড়া ছুটেছে কলারোয়ায় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে! সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪বয়সী শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত নানান বয়সী মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
করোনার ব্যাপকতায় ইতোমধ্যে কলারোয়া ও তালা উপজেলার অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এরই মাঝে জেলা প্রশাসনের চলমান লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছে। লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃংখলা বাহিনী, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরাসরি মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের সংক্রমনের ঝুঁকি থাকলেও সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
তবে লকডাউনে বিপর্যস্থ সাধারণ মানুষ। জনজীবন স্থবির ও নানান বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছে। পেট চালাতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। প্রয়োজনের তাদিগে লকডাউনও পরিপূর্ণরূপে অনেকে মানতেও পারছেন না।
আবার করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসন লকডাউন ঘোষনা করছে। সেই বাড়িতে লকডাউন লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দিয়ে আসছে। কিন্তু সমস্যা সেখান থেকেই। লকডাউন হওয়া বাড়িতে কেউ যাচ্ছেন না, বা সেই বাড়ি থেকে কেউ বাহিরেও আসছেন না। ফলে ওই বাড়ির খাদ্য-খাবারসহ সকল প্রয়োজন সাময়িক স্থবির হয়ে যাচ্ছে। পরিচিতজনেরা বা সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগি হয়ে কেউ কিছু পাঠালে সেটা পাচ্ছে নতুবা নয়। আবার যারা চাইতে পারছেন তারা কেউ পাচ্ছেন, যারা চাইতে পারছেন না তাদের অনেকেই পাচ্ছেন না। তাছাড়া এতো বেশি সংখ্যক শনাক্ত হচ্ছেন যে, এতো পরিবার লকডাউন করার ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে গোটা প্রশাসনকেও।
এরূপ বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নিজের ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
হুবুহু সেটা তুলে ধরা হলো-
আমার প্রিয় কলারোয়া উপজেলা বাসী সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। প্রায়ই বাড়িতে বা এক পরিবারের সবার জ্বর। প্রতিদিন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলছে, আক্রান্তের হার প্রায় ৬০%। আমার ধারণা সাধারণ মানুষ লজ্জা, ভয় ও লকডাউনের যাঁতাকলে কেউ পড়তে চায় না। যে কারনে কেউ করোনা টেষ্ট করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। লকডাউন করেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। তার চিকিৎসা, খাওয়া দাওয়া ও পরিবারের অন্য সদস্যদের শারীরিক কি অবস্থা দেখা’র কেউ নেই। লকডাউন মানে সমাজে বা পাড়ায় একঘরে হয়ে থাকা। কেউই তার সাহায্য তো দুরের কথা নাক টিপে তার বাড়ি পার হচ্ছে। এ কথা লজ্জায় অন্যকে বলতে পারে না। আমরা মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, ভ্যান মটরভ্যান, রাস্তায় উঠা বন্ধ করে দিয়েছি। তারা প্রশ্ন করে? আমরা গরীব কিস্তিতে গাড়ি নিয়ে চালিয়ে আমাদের পরিবার পরিজন ও বাবা মার ঔষধ কিনতে হয়। আমরা কি ভাবে চলবো? আমি মিথ্যা না বলে আমরা তোমাদের সহযোগিতা করবো।দুঃখের বিষয়,পরিষদ বলেন আর প্রশাসন বলেন আমরা শ্রমিক,লকডাউন পরিবার, ছিন্নমূল মানুষের জন্য কিছু করতে পারছি না। শেষ কথা “শাসন করা তারই সাজে,সোহাগ করে যে”।
তার পরেও আমি উপজেলা বাসীর কাছে অনুরোধ করবো নিজে ও পরিবারের সুরক্ষিত রাখতে নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন। মহান আল্লাহ আমাদের নিশ্চয়ই সহায় হবেন ইনশাআল্লাহ।
(আমার ব্যক্তিগত মতামত)

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
