আশাশুনিতে নৌকায় মসজিদ নির্মাণ, একসঙ্গে নামাজ পড়বেন ৬০ জন
সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় নৌকার মধ্যে একটি ভাসমান মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটির নাম ‘মসজিদে নূহ (আঃ)’।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জোহরের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। এটিকে বাংলাদেশে প্রথম ভাসমান মসজিদ বলে দাবি করছেন তারা।
স্থানীয় মুসল্লি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরে আজও কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়ার জোয়ারভাটা চলছে। এখানকার মানুষের অধিকাংশ কাজ নৌকাতেই সারতে হয়। প্রতাপনগরের হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের মুসুল্লিদের কখনও কখনও কোমর বা হাঁটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়। হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদটি বেড়িবাঁধের ভাঙনে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারভাটায় বিধ্বস্ত প্রায়। প্লাবিত মসজিদে নামাজ আদায়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিলো মুসল্লিদের।
স্থানীয় সেই মুসল্লিদের দুর্ভোগ লাঘবে আলহাজ সামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাসমান মসজিদটি তৈরি করা হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইমাম হাফেজ মইনূর ইসলামের কাছে মসজিদটি হস্তান্তর করা হয়।’
ভাসমান মসজিদটি উদ্বোধনকালে আলহাজ সামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন বলেন, ‘হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের সাঁতার কেটে মসজিদে যাওয়ার ভিডিও দেখে আমার খুবই কষ্ট লেগেছে। এখানকার মানুষ সব কাজ নৌকার মধ্যেই করেন। তাহলে নৌকায় কেন নামাজ পড়া যাবে না। সেই লক্ষ্যেই দেশের প্রথম ভাসমান নির্মাণ করে এই এলাকার মুসুল্লিদের জন্য দিয়ে দিয়েছে। মসজিদে রয়েছে আজান দেওয়ার জন্য মাইক সাউন্ড সিস্টেম। মসজিদে আট কাতারে একসঙ্গে ৫৫ থেকে ৬০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। ভাসমান মসজিদের নৌকাটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৬ ফুট। মসজিদটিতে রয়েছে পানির ট্যাংক, ট্যাব সিস্টেম ওজু করার সুবিধা। রয়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। মসজিদটি স্থির রাখতে নৌকার দুই পাশে ২৫০ লিটারের চারটা করে আটটি ড্রাম বাঁধানো হয়েছে। এটি আরও সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই এলাকা থেকে পানি সরে গেলে এই নৌকাটি অসহায় পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হবে।’
মসজিদের ইমাম হাফেজ মঈনূর রহমান বলেন, ‘এর আগে আমিসহ মুসল্লিরা সাঁতরে এবং পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েছি। এখানকার মুসুল্লিদের কষ্ট লাঘব হলো। আলহাজ সামসুল হক ফাউন্ডেশনের মসজিদটি করে দেওয়ায় এখানকার সবাই খুশি।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)