মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কালিগঞ্জে সজিনা ফুলে ফুলে ভরে গেছে চারিপাশ

বসন্তের শুরুতে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে ফুল। ফুলের পরিমাণ এতোটাই যে গাছের পাতা পর্যন্ত দেখার উপায় নেই। ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছির দল মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশে সজিনার সাদা ফুল পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।

রোগ বালাই কম হওয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা হচ্ছে সজিনা। তাই সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলায় বাইরেও সরবরাহের চিন্তা করছেন চাষীরা।

এক সময় বাড়ির আশপাশের উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। সময়ের পরিক্রমায় সজিনার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এখন ফসলি জমিতে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজিনার চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন তারা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় এই সজিনা।

মৌসুমের শুরুতে সজিনা প্রতি কেজি ১০০/১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে সজিনার ডাটা খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়। সাধারণত শাখা কেটে রোপণ করার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছ থেকে সজিনা সংগ্রহ করা যায়। ডাটার পাশাপাশি ফুল, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলী অসাধারণ। নানা রোগব্যাধি নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি বৃদ্ধিতে সজিনা অত্যন্ত কার্যকর।

কালিগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের অহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, জমির পাশে রাস্তার ধারে কয়েকটি সজিনা গাছ লাগিয়েছি। বাড়িতে খাবার পর অতিরিক্ত সজিনা বাজারে বিক্রি করবো। রোগ বালাই কম। খরচ তেমন না হলেও দাম ভাল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে প্রায় এক থেকে দেড় মণ সজিনা হয়।

উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, সজিনা এখন জমির আইলে ও আবাদি জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে
লাগানো হচ্ছে। গাছে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর একটু কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এতে ভালো সজিনা হয়।

গাছে যে হারে ফুল আসছে তাতে মনে হচ্ছে সজিনা আসার পর এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো সম্ভব।

উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রকালী গ্রামের মুসলিমা বেগম জানান, আগে বাড়ির উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। এখন আবাদের জন্য জমিতে লাগানো হচ্ছে। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ বলেন, আমরা জনগণকে সজিনার গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। এবার উপজেলায় দেশীয় জাতের ১৭ হাজার ৫০টির মতো সজিনা গাছ আছে। গত বছর ছিল ১৫ হাজারের মতো।

তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় সজিনার গাছ নেই সেসব এলাকায় কৃষকদের সজিনার গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সজিনার পুষ্টিগুণ অনেক। এছাড়া সরকারি জায়গায় সজিনার গাছ লাগানো হচ্ছে। আগামীতে সজিনার গাছ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কালিগঞ্জে ইনসানিয়া রিলিফের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা শিবির ক্যাম্প

আবু বক্কর সিদ্দিক, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ইনসানিয়া রিলিফ শিকাগো আমেরিকারবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরার ৮ থানায় গ্রেপ্তার ১৪

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অভিযানে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ICT কোচিং সেন্টারবিস্তারিত পড়ুন

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ ও ইসরায়েলি পন্য বর্জনের আহবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুম্মার নামাজের পর ইসরায়েলি গণহত্যারবিস্তারিত পড়ুন

  • কালিগঞ্জে নিখোঁজ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবক শরিফুল, পরিবারের আহাজারি
  • কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. শহিদুল আলম এর মতবিনিময়
  • কালিগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
  • কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ইফতার মাহফিল
  • ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের দেবহাটার কুলিয়া বাজার পরিদর্শন, জরিমানা
  • বিশুদ্ধ পানির দাবিতে উপকূলে নদীতে খালি কলস ভাসিয়ে প্রতিবাদ
  • কালিগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট সম্মেলন
  • কালিগঞ্জে রমাদান শীর্ষক সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • কালিগঞ্জের নলতায় হত দরিদ্র সাধারণের মাঝে রোজার উপহার বিতরণ
  • কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  • কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত