কৃষি বিল নিয়ে ভারতের রাজ্যসভায় তোলপাড়, বরখাস্ত ৮ সাংসদ


কৃষি বিল নিয়ে ভারতের রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোলের জেরে বিরোধীদলীয় ৮ সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আনন্দবাজারের।
বরখাস্তকৃতরা হলেন- তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেনও, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সতাভ, সিপিআইএমের কেকে রাগেশ, কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন, কংগ্রেসের রিপুন বোরা ও সিপিআইএমের এলামারাম করিম।
রবিবার বিরোধী দলগুলোর প্রবল আপত্তির মুখে পাস হয় কৃষি বিল।
বিরোধী সাংসদরা রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করতে থাকেন।
তখন সভা পরিচালনা করছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে কিছু নথিপত্র ছেঁড়ার চেষ্টা করতে থাকেন। যেটিকে কেউ বিলের প্রতিলিপি, আবার কেউ রাজ্যসভার রুল বুক বলছেন।
এরপরই স্থগিত হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন।
বিরোধী সাংসদদের এমন আচরণে সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদরা। এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী সাংসদদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে আটজনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবটি খারিজ করার পাশাপাশি বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘ওই সাংসদরা সামগ্রিকভাবে সভার অসম্মান করেছেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে কটু মন্তব্য করেছেন।
তাই সংসদের অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য তাদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে।’
ওই শাস্তির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রতিনিধি সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘রাজ্যসভা পরিচালনার ১২৫ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, কোনও সদস্য কোনও বিল নিয়ে আপত্তি তুললে সেটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে হবে। যদি না আগেই সংশ্লিষ্ট বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়ে থাকে। রবিবার রাজ্যসভায় যা হয়েছে, তা এই ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোট না নিয়ে ধ্বনিভোটে বিলটি পাস করিয়ে সেটিকে আইনে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্রের মন্দির সংসদে যা হয়েছে, তা গোটা দেশের নিন্দার যোগ্য। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান শাসকদলের মর্জি মতো কাজ করেছেন। তিনি কোনও আইনেরই তোয়াক্কা করেননি। তার আচরণ নজিরবিহীন এবং বেআইনি। যেভাবে আট সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা হল ভবিষ্যতে কণ্ঠরোধ করার প্রয়াস।’

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
