চীনকে চাপে রাখতে হাত মেলাচ্ছে ভারত-জাপান!


চীনকে নজরে রেখে সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত ও জাপান। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সম্প্রতি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নয়াদিল্লি ও টোকিও। এই চুক্তির আসল উদ্দেশ্য চীনা বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সামরিক বলয় গড়ে তোলা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এবার জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রযুক্তিতে চীনকে আরও কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। 5G এবং 5G প্লাসের মতো উন্নত প্রযুক্তি তৈরিতে যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত ও জাপান। এর জন্য QUAD স্ট্র্যাটেজিস ডায়ালগ সদস্য- আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইজরাইলের সাহায্য নেবে দুই দেশ।
জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তৈরির জন্য QUAD-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আগামী মাসেই একটি বৈঠক হবে জাপানে। সেই বৈঠকেই 5G ও 5G প্লাস প্রযুক্তির প্রস্তাব দেবে ভারত ও জাপান। এখানেই শেষ হয়, প্রযুক্তি বিষয়ক ক্ষেত্রে (3GPP) চীনের প্রভাব কমাতে আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। এতদিন বেশির ভাগ চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি গুলোই দাপট দেখিয়েছে। সেই সংখ্যা হ্রাস করাও অন্যতম লক্ষ্য ভারতের।
শুক্রবারই জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগার সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানেই স্ট্র্যাটেজিক ও গ্লোবাল পার্টনারশিপকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে হাত মেলান তারা। দুই দেশই বর্তমানে চীনা সেনার আগ্রাসনের মুখে। লাদাখে যেমন চোখ রাঙাচ্ছে ‘ড্রাগন’, তেমনই সেনকাকু দ্বীপেও শ্যেণ নজর তাদের। এমন পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির দিক থেকে চীনকে ভোঁতা করে দিতে ছক কষছে এই দুই দেশ। আর এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইজরাইলকে পাশে চাইছেন মোদি-সুগা।
উল্লেখ্য, চীনের চিন্তা বাড়িয়ে ভারত-জাপান যৌথ নৌবাহিনী অনুশীলনের চতুর্থ সংস্করণ শুরু হয় শনিবার। ২০১২ সালে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও দৃঢ় করতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বহাল রাখার উদ্দেশ্যে নৌমহড়া শুরু হয়েছিল। শেষবার এই যৌথ মহড়া হয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। করোনাকালেই একটা সময় এই নৌমহড়ার উপর কালো মেঘ ঘনিয়ে এলেও শেষ পর্যন্ত দুই দেশের নৌবাহিনীর অনুশীলন সময় মতোই অনুষ্ঠিত হল। এবার প্রযুক্তির মারে চীনকে জখম করার ঘুঁটি সাজাচ্ছে ভারত-জাপান। সংবাদ প্রতিদিন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
