নড়াইলে কোরআন পড়া অবস্থায় আমার স্বামীকে হত্যা: স্ত্রী হাসনাহেনা
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজ্জাক মল্লিক সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পূর্ব পাশের ঘরে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি জায়নামাজে বসে কোরআন পড়ছিলেন। তার স্ত্রী পাশের বাড়ি পানি আনতে গেলে ওই সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁকে। নড়াইলের কামাল প্রতাপগ্রামের রাজ্জাক মল্লিকক (৭৫) হত্যা ঘটনায় থানায় মামলা দা’য়ের হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর জায়নামাজে বসে কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় অবস্থায় ওই বৃদ্ধ খুন হন। তিনি সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।
রাজ্জাক মল্লিকের ছোট ছেলে রফিকুল বলেন, আমাদের এখানে তিন গ্রাম নিয়ে দলাদলি আছে, আমার বাবা এলাকার মুরব্বি হওয়ায় তার কথা একটি গ্রুপের লোকজন শুনতো, সেই কারণে এলাকায় একটি হত্যা ঘটনায় আমাদের বাড়ী ভাঙচুর চালায় অপর গ্রুপ,পরে ঐ হত্যা মামলায় আমাদের আসামী করে। তারাই আমার বাবাকে আমার ছোট ছেলের সামনে কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় জায়নামাজের ওপর খুন করেছে, আমার ছেলে ছোট হলেও সে কয়েকজনকে চিনেছে, নাম এখন বলবো না, মামলায় এজহারে সব জানতে পারবেন। আমরা আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
রাজ্জাক মল্লিকের স্ত্রী হাসনাহেনা (৬২) বলেন, আমার স্বামী নামাজ পড়ার পর প্রতিদিন কোরআন শরীফ পড়ে থাকেন। কোরআন শরীফ পড়াকালে তার গলা শুকিয়ে যায়। আমি তার জন্য প্রতিবেশি গিয়াসের বাড়ি থেকে পানি আনতে যাই। কিছু সময় পর আমার পুতা ছেলে এশারক (৬) দৌড়ে এস বলে, “দাদাকে কারা যেন কুপায়ে মেরে ফেলতিছে । চিৎকার করতে করতে ঘরে গিয়ে দেখি সব শেষ। আমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তিনি দাবি করেন, “আমাগে শত্রুরাই আমার স্বামীকে মেরে ফেলিছে। গ্রামে দলাদলির কারণে আমার দুই ছেলেই বাড়ি ছাড়া, গ্রামে একটা মার্ডারের পর আমার বাড়ীঘর সব ভে*ঙ্গে ফেলেছে, ছেলেদের নামে মামলা দিয়েছে, তাই তারা লোহাগড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। তারাই আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে, আমি স্বামী হ*ত্যার বিচার চাই।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামলা প্রতাপ গ্রামের রসিদ মল্লিকের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমাদা গ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় নিয়ে গেছে। এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তারা।
এ ব্যাপরে সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ হোসেন জানান, হত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামলা প্রতাপ গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমাদা গ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় আনা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তিনি বলেন, হত্যা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)