নড়াইলে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আসামি গ্রেফতার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে এ ঘটনার মূল আসামি রিপন মোল্যাকে রোববার (৯ আগস্ট) সকালে কুমড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রিপন কুমড়ি পশ্চিমপাড়ার সবদার মোল্যা ছেলে। এ মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে-কুমড়ি গ্রামের ওহিদুল মোল্যা (২৬) ও পাশ্ববর্তী তালবাড়িয়া গ্রামের নুরনবী মোল্যাকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ভূক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর একটি সমস্যা মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে স্বামীসহ ওই নারীকে গত ৫ আগস্ট রাতে নড়াইলের কুমড়ি গ্রাম থেকে আসামিরা মোটরসাইকেলে করে অন্যত্র নিয়ে যান। পথে স্বামীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারপিট করে বাঁশবাগানে নিয়ে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে আসামিরা। গভীর রাতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গৃহবধুকে তাদের বাড়ির পাশে ফেলে যায় তারা। প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে বাড়িতে দিয়ে যান। এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে রিপনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। এছাড়া মামলা না করার জন্যও হুমকি দেয় তারা।
একপর্যায়ে গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ভূক্তভোগী ওই নারীকে পরিবারের সদস্যরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, ভূক্তভোগী গৃহবধুর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, গণধর্ষণ মামলার আসামি রিপন মোল্যাকে গ্রেফতারের সময় এক হাজার টাকার চারটি জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। এছাড়া রিপনের নামে মাদক, হত্যা ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে লোহাগড়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। রিপন এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও গ্রেফতার হয়েছে রিপন। এদিকে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)