‘বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে, দুই বেলা খেতে পারছে’
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কিছু না। আমি নিজে গর্ববোধ করি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কাজেই তার স্বপ্নপূরণ করাই আমার কর্তব্য। বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। দুই বেলা খেতে পারছে। উন্নয়নের যে ধারা আমরা শুরু করেছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, পদ্মাসেতু করে দিয়েছি, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি, এর ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে রাস্তায় আটকে থাকতে হতো। কিছুটা সময় লাগলেও এবার আগের মতো দিন-রাত মানুষকে রাস্তায় বসে থাকতে হয়নি।
মানুষজন রাজধানী বসে না থেকে গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্য বেড়ে গেছে, অনেক উন্নত দেশ খাদ্য রেশন করে দিচ্ছে, অর্থাৎ পরিমাণের বেশি কিনতে পারবেন না বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে কিন্তু সে অবস্থা নেই। তারপরও আমি বলব, যার যেখানে জমি আছে, যতটুকু সম্ভব যেন চাষ করেন। অন্ততপক্ষে যেন নিজেদের খাবার দাবার উৎপাদন করা যায়।
পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রথমে দুর্ঘটনা মনে হয়। কিন্তু একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিসন্ত্রাসীদের চক্রান্ত আছে কি না তা ভাবতে হবে। এ সময় তিনি ফায়ার সার্ভিসসহ যারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে তাদের ধন্যবাদ জানান। এছাড়া সবাইকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানের যে চেষ্টা, যা আমি বাবার কাছ থেকে শিখেছি, তা আমি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু আমি আমার বাবা-মা-ভাইকে হারিয়েছে, তাই বাংলার মানুষের মাঝেই আমি তাদের খুঁজে পাই। আমার ব্যক্তিগত জীবনের কোনো চাহিদা নেই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)